জিনাতের জন্ম আমেরিকার এ্যাস্টোরিয়াতে। দুই ভাই-বোন। জিনাত ফিরদৌস ও নজমূল ফিরদৌস নাজ। বাবা বেলায়েত ফিরদৌস। মা শাহনাজ ফরদৌস তুলি। জন্ম থেকেই স্বাধীনতা প্রিয় মা বাবা সন্তানদের উপর কোন ইচ্ছাই চাপিয়ে দেন নি। তাঁরা আপন গরজেই আপন ইচ্ছাতেই জীবনের মূল্যবান সময়কে ধারন করে করে নিজ ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে। কন্যা জিনাতের ইচ্ছাটার প্রতিও বাবা মা সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। যে কারনে আমেরিকান জনগোষ্ঠীর সাথে যোথবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সাধারনত মেয়েরা কমজুরি হওয়াতে অনেক বাবা মা ই এই পেশাটাকে বেছে নিবেন না। জিনাতের ক্ষেত্রে পুরোটাই বিপরীত। বাবা মা র উৎসাহ উদ্দীপনাই তাঁর সহায়ক হয়েছে। সফলতাও তাই বার বার আসছে। সেদিন ছিলো খুব আনন্দ ঘন মূহূর্ত। বাইরে গুরি গুরি বৃষ্টি।বাসন্তী বাতাস ঠেলে ঠেলে গেলাম ম্যানহাটনের সেই গ্যালারীতে যেখানে মূহূর্মূহূ করতালিতে দুইজন রমনীকে মন্চে তোলা হলো। হলরুম জনসমাগমে কোলাহলে পরিপূর্ণ। একজন জিনাত ফিরদৌস অন্যজন আমেরিকান জু হিক্স।বলতে গেলে দুজনই আমেরিকান ।কারন জিনাতের জন্ম এই আমেরিকাতে। জন্মসূত্রে আমরিকার নাগরিক। বিরাট বলরুম কানায় কানায় কানায় পূর্ন গ্যালারী। ধারাবাহিক ভাবে নাম প্রকাশ করে যাচ্ছেন কথাকার অনুষ্ঠান সন্চালক মিডিয়া ব্যক্তি্ত্ব।একজন করে ফাইটার রাউন্ডে নামতেই হল করতালিতে সরগরম হয়ে ওঠে।
এবার এলো সেই আকর্ষনীয় জুয়ানা ডুলেকা ও জিনাত ফিরদৌস। মেডিসিন স্কোয়ারের গার্ডেন ওয়েস্ট যেনো জয়ের বারতায় ঝলমল। দীর্ঘক্ষণ খেলার পর যখন জয়ের ঘোষনা এলো জিনাতের চোখের পাতা বারবার ভিজে উঠছিলো। জয়ের আনন্দের যে আনন্দাশ্রু এতো মধুর হয় জিনাতের রক্তিম মুখই তাঁর প্রমান। এর পর যখন ন্যাশনাল গুল্ডেন ক্লোজ এ দ্বিতীয় স্থান পায়। লোকেশন টোলসা ওকলাহামা সিটিতেও প্রথম স্থান। এমনি ভাবেই জিনাতের অগ্রসরতা ধাপে ধাপে দিন দিন বেড়েই চলেছে। কথা হলো জিনাতের পরিবার বাঙালি। একজন বাংলাদেশী মেয়ে যে এমন একটা পেশা নিতে পারে সে টি কল্পনায়ই আনা যায় না। প্রথম পুরষ্কারের টাকা গুলো ডুনেশান ক্যান্সার প্যাশেন্টদের জন। এ তো কম গৌরবের বিষয় নয়। জিনাতকে দেখে আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে। মেয়েরা ফুটবলেও চলে এসেছে। বিশ্বব্যাপী নারীর জয় হোক।