যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বলেছেন, বাংলাদেশের সঠিক তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ইমেজ আরো সমুন্নত করা সম্ভব। কনস্যুলার সেবা প্রার্থী সহ প্রবাসীদের যে কোনো ধরনের সমস্যার তথ্য সবিস্তারে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তা সমাধানের সচেষ্ট থাকবে দূতাবাস। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে গত ১২ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের নিজ অফিসে স্বাগত জানিয়ে নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচিতি তুলে ধরেন। আরও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) সাজ্জাদ হোসেন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূর এলাহি মিনা। এ সময় নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের কাউন্সিলর আয়শা হক, ফার্স্ট সেক্রেটারি ও দূতালয় প্রধান ইসরাত জাহান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি প্রসূন কুমার চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণে সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করে বলেন, প্রবাসীদের প্রত্যেকেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত। তারা দেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি বলেন, এনআইডি ইস্যু কার্যক্রম বহির্বিশ্বে চালু হলে তা যুক্তরাষ্ট্রেও চালু হবে।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান আরও বলেন, বৈধপথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে যে পরিমান রেমিট্যান্স যাচ্ছে, তার প্রায় সমপরিমাণ যাচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। হুন্ডিতে প্রেরিত অর্থ জাতীয় উন্নয়নে যেমন কোন অবদান রাখতে পারছে না, তেমনি ওই অর্থে বৈধভাবে কোনো স্থাপনা নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ বিনিয়োগে সহজ হয় না।
এর আগে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান সোনালী এক্সচেঞ্জ সহ বাংলাদেশী রেমিট্যান্স প্রেরণকারী সংস্থা প্রধানদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সবশেষে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের সাথে নানা ইস্যুতে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, লসএঞ্জেলেস ও ফ্লোরিডা কনস্যুলেটের সাথে সর্বস্তরের প্রবাসীদের বিদ্যমান সম্পর্কের আরও উন্ননে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি সিটিজেনশিপ গ্রহণকারী প্রবাসীদের মূলধারার রানীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থে মার্কিন রাজনীতিকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।