যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের হ্যামট্রামিক সিটির কাউন্সিলম্যান হলেন বাংলাদেশি মুহিত মাহমুদ। এই সিটির কাউন্সিলম্যান অ্যাডাম আলবামাকির কাউন্সিলর থেকে পদত্যাগ করলে তার স্থলাভিষিক্ত হন নির্বাচনে নিকতমপ্রতিন্দ্বী মুহিত মাহমুদ।
২০২১ সালের ২ নভেম্বর হ্যামট্রামিক সিটির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মুহিত মাহমুদ ও আলবামাকির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। মুহিত মাহমুদ রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়েও মাত্র ৪৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
অ্যাডাম আলবামাকির তার পদত্যাগ পত্রে বলেন, প্রত্যাশিত মান অনুযায়ী এই ভূমিকাটি সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের পরিমাণকে অবমূল্যায়ন করেছি। যদিও সময়ের প্রতিশ্রুতি আমার প্রাথমিকভাবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। আমি যে ভূমিকার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলাম তা সম্পাদন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। এটি অপ্রত্যাশিতভাবে পরিবর্তন হয়েছে, যখন আমার ক্যারিয়ারের পথ পরিবর্তন হয়েছে। পেশাগত ক্যারিয়ারের জন্য আমি ও আমার পরিবার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিই। কাউন্সিলম্যান হিসেবে কাজ করার জন্য অবশ্যই স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে। যেহেতু অন্যত্র চলে যাচ্ছি তাই আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যামট্রামিক সিটি কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করছি।
পাশাপাশি এমন একজন ব্যক্তিকে প্রতিস্থাপন করেছি, যাকে আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি এবং তিনি মেধাবি ও যোগ্য। চলার পথে মুহিত মাহমুদকে দেখেছি, হ্যামট্রামিকের জনগণকে সেবা করার জন্য তার সক্ষমতার প্রতি আস্থাশীল।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান মুহিত মাহমুদ ১৯৯৬ সালে আমেরিকা আসেন। মিশিগানে সপরিবারে বসবাস করছেন ২০০১ সাল থেকে। তিনি পেশায় একজন সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিয়াল। পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ক্রসাসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একযুগের বেশি লেবার ইউনিয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মুহিত মাহমুদ নিজেকে জনসেবা ও কমিউনিটি সার্ভিসে যুক্ত রেখেছেন। তার বাবা গোলাপগঞ্জের একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মানুষের সেবা করা এটি তার পারিবারিক চর্চা। কমিউনিটির মানুষের উৎসাহ ও প্রেরণায় হ্যামট্রামিক সিটির নির্বাচনে লড়াই করেন। হ্যামট্রামিক সিটির সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নতুন কাউন্সিলম্যান মুহিত মাহমুদ।