ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গত ১৩ই নভেম্বর রবিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নিউইয়র্ক মহানগর (উওর) এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ব্রঙ্কসের নিরব রেষ্টেরেন্ট হল রুমে । সংগঠনের আহবায়ক আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা। সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রাক্তন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহবায়ক মৌলানা ওয়ালী উল্লাহ্ আতিকুর রহমান, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিনের আহবায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, স্টেট বিএনপির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান সাইদ, মহানগর উওর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ডঃ নুরুল আমিন পলাশ, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ এর সিনিয়ার সদস্য ভিপি জসিম উদ্দীন, বিপ্লব ও সংহতি উদযাপন কমিটির আহবায়ক জাফর তালুকদার, মহানগর দক্ষিন যুগ্ম আহবায়ক জিয়া উদ্দীন মিশন, ও স্টেট বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক বদরুল হক আজাদ। সভায় বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক মহানগর (উওর) এর যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল হক খালিসদার, মহানগর বিএনপি দক্ষিণ এর যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দীন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাওসার দেওয়ান, শহীদুল ইসলাম সিকদার, মহানগর উওর যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ গৌছুল হোসেন, মানিক আহমদ, মোঃ লিয়াকত আলী, শাহ কামাল উদ্দীন, ইমতিয়াজ বেলাল, হামিদুল্লাহ রকি, জিয়াউল হক জামিল, মহানগর দক্ষিন সদস্য মোঃ সুলায়মান, বিএনপি নেতা আনোয়ারুল আলম ভূইয়া, আক্তারুজ্জামান হেপী, নিউইয়র্ক যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাইফুর রহমান হারুন, আমানত হোসেন আমান, আতিকুল হক আহাদ, আবুল কাসেম ও বিএনপি নেতা মোঃ ফুল মিয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন জিয়াউল হক জামিল ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় সহযোগিতা করেন সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব কামরুল হাসান ও বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শাহ কামাল উদ্দিন। আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহ্বাজ আব্দুর রহিমের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বিএনপি নেতা মোঃ মমতাজ উদ্দীন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এম,ডি বাবু, সুলেমান ভূইয়া, চৌধুরী মোমিত তানিম আহমদ, দুলাল রহমান, কাওসার হোসেন, সুলতান মাহমুদ উল্লাস, এইচ এম রিয়াজ, নজরুল চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহাজাহান, মনিরুল ইসলাম, সিদ্দিক আহমদ, মোঃ খালেদ, তোতা মিয়া, পি কে শরিফ, কায়সার আলম তপন, নুরুল হক, মামুনুর রশীদ, শওকত আলী, শামীম রেজা, কোরবান আলী, মোহাম্মদ রেজা, হেলাল উদ্দীন, মোহাম্মদ আলীম, আব্দুল মুমিন, খলিলুর রহমান, আবু তালেব, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ তাজাম্মুল, মোঃ মুক্তা, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
সভায় প্রদত্ত বক্তব্যে নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির আহবায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন বলেন, বর্তমান নিশিরাতের অবৈধ সরকারের অত্যাচার ও অবিচারে দশের জনগন দিশেহারা, যে সরকার তিন বারের প্রধানমন্ত্রীকে জেলে পাটানুর হুমকি প্রধান করে আর যাই হোক হাসিনার পায়ের তলায় মাটি নেই সেটাই প্রমান করে। ৭ই নবেম্বর বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা বহুদলীয় গনতন্ত্র আর বাংলাদেশের মানচিত্র পেয়েছি দেশ ও জনগন স্বাধীকারসহ স্বাধীনতা ও গনতন্ত্রের চেতনা বিরুধী গভীর চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নবেম্বর সিপাহী জনতার স্বতঃস্ফুত বিপ্লব সংগটিত হয়েছিল প্রয়োজনে আবার রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আরেকটি বিপ্লব হবে। তারপরেও বাংলার জনতার ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী বলেন দেশে যতক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র ও জনগনের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্টা না হবে ততোদিন পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে,ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে তারুন্যের অহংকার আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান ও তার সহ ধর্মীনি ডাঃ জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতীয় জীবনে ৭ই নবেম্বরের গুরুত্ব অপরিহার্য বলে জানান তিনি। সিনিয়ার বিএনপি নেতা ড. নুরুল আমিন পলাশ বলেন দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক ও অপর অপর পক্ষে শোষিত শ্রেণী।বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে শোষিত মানুষের পক্ষে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ বাঁচানোর এই লড়াইয়ে গণতন্ত্রের পক্ষের সকল মানুষকে শরিক হতে হবে।
সভায় বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং শেখ হাসিনা বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত সকলের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। আলোচনা সভার পূবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডাঃ জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারী পরওয়ানা জারীর প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলে সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান প্রদান করা হয় এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর নিন্দা জানানো হয়।