বিএনপি মনোনীত ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আজ শুক্রবার গণমাধ্যমের সম্পাদক/হেড অব নিউজদের কাছে চিঠি দিয়ে নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রসমুহে পর্যাপ্ত সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত কারার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে ইশরাক হোসেন লেখেন- ‘জনাব, আসসালামু আলাইকুম। আসছে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে আমি ইশরাক হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিশেষ করে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারবিহীন প্রেক্ষাপটে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ২০ দিনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আমি নগরবাসীর অকুন্ঠ সমর্থনের পাশাপাশি মিডিয়া কর্মীদের সহযোগিতাও পেয়েছি। এজন্য আমি নগরবাসী ও আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ।’
চিঠিতে তিনি আরো লেখেন, ‘আপনারা জানেন, এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনেক অভিযোগ ছিল এবং আছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন সময় অভিযোগও প্রদান করা হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর নজরেও আনা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সে সব অভিযোগের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমি ও আমার দল বিএনপি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ও তাদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমি মনে করি, আমাদের এই চাওয়ার সাথে আপনারাও একমত হবেন।’
ইশরাক বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) নির্বাচন। স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার রক্ষাকবচ বলে আমি মনে করি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততায় আমি আশঙ্কিত। নানা অনিয়ম, ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ ও দখল এবং কারচুপির আশঙ্কাও করছেন নগরবাসী। এরকম পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত কারার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। এই নির্বাচনে যদি অনিয়মসহ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়, তা যেন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী অবহিত হতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করি। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।’