জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকালোয় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ২ ডিসেম্বর কনস্যুলেটে ”ট্রেনিং এ্যান্ড কোলাবোরেশন প্রোগ্রাম অন কোস্টাল রেজিলিয়েন্স” এ অংশগ্রহনকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন। প্রতিনিধিদলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এর কর্মকর্তাবৃন্দ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ সময়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যামন্ট রিসার্চ প্রফেসর মাইকেল স্টেকলার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সাফল্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন, বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ প্রণয়নের কথা উল্লেখ করেন। এসডিজি-২০৩০ অর্জনে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব নীতির প্রয়োগে সরকারের অঙ্গীকারের কথা তিনি পুনঃব্যক্ত করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জসমূহ বর্ণনাকালে আলোচকবৃন্দ বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের জলরাশির উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের ক্ষতির কারণ হতে পারে, যার ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও এর ফলে অভ্যন্তরীন নদীসমূহে লবনাক্ততা বৃদ্ধির ফলে শস্য উৎপাদন ও মিঠা পানির মাছ চাষে ক্ষতির আশংকা আছে এবং এর ফলশ্রুতিতে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। এজন্য ব্যাপক ভিত্তিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মন্তব্য করে অংশগ্রহনকারীগণ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে এ সংক্রান্ত ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। সফররত প্রতিনিধিদল ট্রেনিং প্রোগ্রাম এর কোর্স কারিকুলামের বিষয়বস্তুর উপর সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অর্জিত জ্ঞান তাঁদের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে আরো সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। কনস্যুলেটে মতবিনিময় সভার আয়োজন করায় তাঁরা কনসাল জেনারেলকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে উক্ত ট্রেনিং প্রোগ্রামটিতে অংশগ্রহনের নিমিত্তে প্রতিনিধি দলটি বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।