ক্রেমলিন মঙ্গলবার বলেছে, ইউক্রেন সংঘাত সমাধানে কোনো অগ্রগতি হতে পারে না যতক্ষণ না কিয়েভ দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। মস্কো এই ক্রিসমাসে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দেয়া এমন প্রস্তাবও রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র নাকচ করে দিয়েছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনীয় পক্ষকে সেখানে সৃষ্ট পরিস্থিতির বাস্তবতাগুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসব বাস্তবতার আলোকে দেখা যাচ্ছে যে সেখানে রুশ ফেডারেশনের নতুন অঞ্চল রয়েছে।’ ‘এই বাস্তবতাগুলোকে আমলে না নিয়ে, এ সংঘাতের কোনো অগ্রগতি অসম্ভব।’
মস্কো ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় চারটি অঞ্চল-দোনেৎস্ক, লুগানস্ক, জাপোরিজিয়া এবং খেরসনকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রই না করা সত্ত্বেও এসব অঞ্চলকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করার দাবি করেছে।
গত নভেম্বরে মস্কো ইউক্রেনের প্রধান নগরী খেরসন থেকে সৈন্য সরিয়ে নিলেও তারা বিস্তৃত খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে।
সোমবার জি-৭ ভূক্ত দেশগুলোর উদ্দেশে ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া তাদের আগ্রাসন পরিত্যাগ করতে সক্ষম তা বাস্তবে করে দেখানোর এবং এই ক্রিসমাসে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করার জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্রেমলিন মঙ্গলবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে। পেসকভ বলেন ‘এটি প্রশ্নের বাইরে।’
জেলেনস্কি ইউক্রেনের জন্য আরো অস্ত্রের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সাহায্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে পেসকভ বলেন, জেলেনস্কি এই দাবিগুলো যুদ্ধের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেনে সৈন্য পাঠিয়ে বলেন, পশ্চিমাপন্থী দেশটিকে অবশ্যই ‘অসামরিকরণ’ করতে হবে।
সূত্র : বাসস