যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্টশিয়াল লাইভ টাইম অ্যাওয়ার্ড’ এবং লন্ডনের ‘বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ লাভকারী নিউইয়র্কের বিখ্যাত খলিল বিরিয়ানী হাউজ-এর প্রধান শেফ ও সিইও মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেছেন বাংলাদেশী ফুড প্রমোটের পাশাপাশি আমেরিকান সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে দেশীয় খবার তুলে ধরতে আমরা কাজ করে চলেছি। তিনি বলেন, আমেরিকায় কারী ইন্ডাষ্ট্রিকে আরো শক্তিশালী করতে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি ২০২৩ সাল থেকে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। খলিল ফুড ফাউন্ডেশের উদ্যোগ ও আয়োজনে আগামী বছরের শেষের দিকে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়কালে শেফ খলিলুর রহমানের এই ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস্থ খলিল বিরিয়ানী হাউটের বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস এন্ড এপ্রিশিয়েশন ডিনার’ শীর্ষক মতবিনিয় সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক শামীম আল মামুন। এতে শেফ খলিলুর রহমান বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি তার বক্তব্যে খলিল বিরিয়ানীর প্রচার, প্রসার ও জনপ্রিয়তার জন্য মিডিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এজন্য সকল মিডিয়া ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, গতানুগতিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান নয়, যোগ্যদের যোগ্য সম্মান জানাতেই এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। আর এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কোন পৃষ্ঠপোষকের উপর নির্ভর করা হবে না, খলিল ফুড ফাউন্ডেশন এর সকল ব্যয় বহন করবে। তবে কোন স্পন্সর পাওয়া গেলে তা গ্রহণ করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা খলিল ফুড বা আমাদেও সার্ভিসের সমালোচনাকে স্বাগত জানাই এবং এসব সমালোচনা গুরুত্বের সাথে গ্রহণ ও বিবেচনা করে খাবার ও সেবার মান ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, ভালো খাবারের দাম একটু বেশী হবে। আমরা ভালো খাবারের ব্যাপারে কোন আপোষ করি না বলেই হয়তো আমাদের খাবারের দাম অনেকের কাছে বেশী মনে হয়।