হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কম না বেশি, তা নির্ভর করে রক্তের গ্রুপের (ব্লাডগ্রুপ) ওপরে। এমনকি রক্তের গ্রুপ থেকে ভবিষ্যতের রোগ সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। গবেষণা বলছে, রক্তের গ্রুপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁঁকির আভাস দেয়। ৬০ বছরের আগেই স্ট্রোক হতে পারে কিনা, তা
আগাম জানিয়ে দেয় রক্তের গ্রুপ। মানব শরীরে মূলত চার প্রকার রক্তের গ্রুপ রয়েছে- এ, বি, এবি এবং ও। এ ছাড়াও বিরল রক্তের গ্রুপও রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা বলছে, রক্তের গ্রুপকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হতো, এটা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বের। এর সঙ্গে যোগ রয়েছে হার্ট অ্যাটাকের। যা আগে থেকে আগাম বলে দেয়। ফলে তরুণদের হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমানো যায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অ গ্রুপের রক্ত যাদের, তাদের ৬০ বছর বয়সের আগেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অ১ সাবগ্রুপ এবং কম বয়সে স্ট্রোকের জন্য দায়ী জিনগুলোর জিনোমিক গবেষণা করা হয়েছে। গবেষকরা এর জন্য ৪৮টি জেনেটিক গবেষণাপত্র থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ লাখ অংশগ্রহণকারী স্ট্রোকে আক্রান্ত হননি। প্রায় ১৭ হাজার রোগীর স্ট্রোক হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে।
বলা হচ্ছে, যাদের জিনোম এ রক্তের গ্রুপের সঙ্গে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল, তাদের ৬০ বছর বয়সের আগে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁঁকি অন্যান্য রক্তের গ্রুপের জনসংখ্যার তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। গবেষকদের মতে, এ ব্লাডগ্রুপের মানুষের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁঁকি বেশি। যাদের রক্তের গ্রুপ এ, তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর কোলেস্টেরল বাড়লে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এ, বি এবং এবি গ্রুপের রক্তের মানুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ও গ্রুপের থেকে বেশি। এ, বি এবং এবি গ্রুপের মানুষদের ৮ শতাংশ ও হার্ট ফেইলিউরের আশঙ্কা ১০ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি এ এবং বি গ্রুপের মানুষদের রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কাও বেশি বলে দাবি গবেষকদের।