যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন ও আখতার হোসেন বাদল নেতৃত্বাধীন সংগঠনের নিউইয়র্ক সিটি বিএনপি’র এক সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহামান ও তার পত্নী জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সভায় দেশব্যাপী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন, গ্রেফতার ও হামলা-মামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবী করা হয়। এছাড়াও সভায় আগামী ১৯ জানুয়ারী স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন এবং ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টেুরেন্টে সোমবার (৯ জানুয়ারী) রাতে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও মূলধারার রাজনীতক, ব্যবসায়ী আখতার হোসেন বাদল। এছাড়াও বিশেষ বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মহিন আহমেদ, নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপি’র সভাপতি সালেহ আহমদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শিপন, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপি’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম । সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
সভার শুরুতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন। সভায় আগামী ১৯ জানুয়ারী স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন এবং ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। উভয় অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট দিনগুলোতে সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত হবে। সভায়ি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক মহিন আহমেদ, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন শিপন, প্রধান সমন্বয়কারী মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, সার্বিক তত্বাবধান ও প্রচারে তাইবুর রহমান এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফুর রহমান ও জুনায়েদ মাহফুজ।
সভায় অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি’র সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার ভীত হয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ কেন্দ্রীয় নেতাদেরও আটক করেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের আগামী দিনে নেতা তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর সম্মত্তি ক্রোক করার মতো পত বেছে নিয়েছে। যা চরম অন্যায়। তিনি বলেন, দেশ ও প্রবাসের বিএনপি নেতা-কর্মী সহ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে, ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিদেশীরাও সরকারের অন্যায়-অবিচার আর রাতের ভোটের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারাও সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে। আর তাই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কোন ষড়যন্ত্র বা প্রলোভনের কাছে পরাজিত হওয়া যাবে না। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
আখতার হোসেন বাদল বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক, আমাদের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায়-অবিচার রোধে আর তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিতে দেশ ও প্রবাসে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, অবশ্যই তারেক জিয়া বীরের বেশে দেশে ফিরবেন আর শেখ হাসিনার সরকারকেও বিদায় নিতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে নানা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সেদিন বেশী দূরে নেই যে, বিএনপি’র নেতৃত্বে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের সকল ষড়যন্ত্র রোধ করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
সভায় উল্লেখ নেতা-কর্মীদের মধ্যে মোহাম্মদ এম কামাল মুকুল, মোহাম্মদ টি রহমান, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, তাইবুর রহমান, আব্দুল মাবুদ সম্রাট, মোহাম্মদ জনি, ইউনুস আলী, মোহাম্মদ মনির, মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, হোসাইন মোহাম্মদ মনির, জুনায়েদ মাহমুদ, নাজমুল হাসান, বিপ্লব হোসেন, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, জুনায়েদ মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।