মূলধারার রাজনীতিতে কম্যুনিটির পথিকৃত হিসেবে বিবেচিত মোর্শেদ আলমের গড়া ‘নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাব’সহ ৩টি সংগঠনের একাদশতম বার্ষিক সম্মেলনে আবারো ধ্বনিত হলো নবউদ্যমে প্রিয় মাতৃভূমির সার্বিক কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার। মার্কিন প্রশাসন ও রাজনীতিতে আরো জোরালোভাবে জড়িয়ে পড়ার এবং সিটিজেনশিপ গ্রহণকারী সকলকে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হবার।
গত রোববার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডে গুলশান টেরেস মিলনায়তনের এ সমাবেশে কংগ্রেসওম্যান ইভ্যাটি ডি ক্লার্ক, স্টেট এসেম্বলিওম্যান জেনিফার রাজকুমার, ক্যাটালিনা ক্রুজ, স্টেট সিনেটর জন ল্যু, জেসিকা গঞ্জালেজ, সিটি কম্পট্রোলার ব্র্যাড লেন্ডার, সিটি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, সিটি মেয়রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পরিচালক দিলীপ চৌহান, এশিয়ান বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কম্যুনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্যে এ সময় অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মঞ্জুরুল হাসান, ডিএনসি মেম্বার খোরশেদ খন্দকারসহ বেশ কয়েকজনকে ‘বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট’ প্রদান করা হয়।
কম্যুনিটির সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বকারী বিশিষ্টজনদের সরব উপস্থিতির এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকেও বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয়। এ সময় পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় নিউ আমেরিকান ইউমেন্স ফোরাম এবং ইয়ুথ ফোরামের সর্বস্তরের সদস্যগণকে। এরা দীর্ঘদিন ধরেই মূলধারায় কম্যুনিটির সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকল্পে কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই কিছু সুফল এসেছেও। তবে তা ব্যাপক আকার ধারণের জন্য প্রয়োজন কম্যুনিটির ঐক্য। এমন অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয় কারো কারো বক্তব্যে।
আহনাফ আলম, নূসরাত আলম, পোল এবং রুবাইয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের প্রতি সম্মান জানানোর আগে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য পর্বে সকলেই অভিবাসনের স্বপ্ন পূরণে আরো জোরালোভাবে মূলধারায় জড়িয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিরা যেভাবে বেড়েছে, সে তুলনায় মূলধারায় নিজেদের স্থান করে নিতে এখন পর্যন্ত সক্ষম হননি। এই অভাব দূর করতে হবে। তবে সকলেই মোর্শেদ আলমের আন্তরিক আগ্রহের প্রশংসা করেছেন।