টানা দ্বিতীয় বছর অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার অ্যালান বোর্ডার মেডেল জিতলেন স্টিভেন স্মিথ। তার মতো দেশটির নারী কিপার-ব্যাটার বেথ মুনিও পরপর দুই বছর জিতলেন নারী ক্রিকেটের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার বেলিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড।
পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে (২০ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ২১ জানুয়ারি ২০২৩) ১০ টেস্ট, ১৭ ওয়ানডে ও ২০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এই সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫৫.২৫ গড়ে ১ হাজার ৫৪৭ রান করেছেন স্মিথ। ৯টি ফিফটির সঙ্গে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পান তিনবার।
স্মিথ আরও একটি রেকর্ড গড়লেন। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো অ্যালান বোর্ডার মেডেল জিতলেন এই ব্যাটার। এর আগে ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২১ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্কের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চারবার এই মেডেল পেলেন স্মিথ। ২০০০ সালে এই পুরস্কার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ পাঁচ বার এই সাফল্য পায়নি।
ডানহাতি ব্যাটার স্মিথ ১৭১ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ট্রাভিস হেড (১৪৪ ভোট) ও ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৪১ ভোট) পেছনে ফেলেছেন । যেখানে সেরা পাঁচে আরও ছিলেন মার্নাস লাবুশেন (১৩৮) ও উসমান খাওয়াজা (১৩২)।
বেলিন্ডা ক্লার্ক পুরস্কার পাওয়া মুনি। ১২৯ ভোট নিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন অধিনায়ক মেগ ল্যানিং (১১০) ও অলরাউন্ডার তাহলিয়া ম্যাকগ্রা (৯৫)। বিবেচিত সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৬৯.৩১ গড়ে ১ হাজার ১০৯ রান করেছেন মুনি। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৯টি ফিফটি করেন তিনি। তার চেয়ে বেশি রান করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো নারী ক্রিকেটার। তার হাতে উঠেছে মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারও।
এদিকে ছেলেদের ক্রিকেটে উসমান খাজা শেন ওয়ার্ন বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। ২২ ভোট নিয়ে পেছনে ফেলেছেন লাবুশেন (২০) ও স্মিথকে (১৮)। বিবেচিত সময়ে ৭৮.৪৬ গড়ে ১ হাজার ২০ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া কমিউনিটি ইমপ্যাক্ট পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।
বর্ষসেরা ছেলেদের ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্মিথের সমান ২৫ ভোট পেলেও টাইব্রেকারের মাধ্যমে ওয়ার্নারের হাতে ওঠে এই পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন মার্কাস স্টয়নিস। আর এই সংস্করণের সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রা।
ছেলেদের তরুণ উদীয়মান সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘ব্র্যাডম্যান ইয়াং ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী পেসার ল্যান্স মরিস। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মাইকেল নেসার।