সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৮৪ বার

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান না দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এর বদলে আবরামস ট্যাঙ্কসহ অন্যান্য ধরনের সহায়তা বাড়াবে দেশটি। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল কোঅর্ডিনেটর ফর স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন্স জন কিরবি এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধবিমান দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।

কিরবি সিএনএনকে বলেন, আমরা অনেক কিছু পাঠিয়েছি। আগামী দিনগুলোতেও আরো অনেক কিছু পাঠাব। ইউক্রেনকে সহায়তা করা খুবই দরকারি বিষয়।

তিনি বলেন, ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, জার্মানি ও ব্রিটেনও ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে না।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর কোনো আলোচনা হচ্ছে না। কিরবি তার এই সিদ্ধান্তের কথা আবারো জানান।

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা জোরদার করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান ন্যাটো প্রধানের
ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সোমবার ইউক্রেনকে সামরিক সমর্থন জোরদারে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সংঘাতময় দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি না করার নীতি পুনর্বিবেচনা করারও মত দেন তিনি।

স্টলটেনবার্গ তার এশিয়া সফরের প্রথম ধাপে সিউলে রয়েছেন। ইউক্রেন সংঘাত ও চীন থেকে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মুখে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক মিত্রদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার অংশ হিসেবে তিনি জাপানও সফর করবেন।

তিনি রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ইউক্রেনের আরো গোলাবারুদের জরুরি প্রয়োজন উল্লেখ করে কিয়েভকে আরো সাহায্য করার জন্য সোমবার সিউলের প্রতি আহ্বান জানান।

ন্যাটো প্রধান জার্মানি ও নরওয়ের মতো দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন ‘সংঘাতময় দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি না করার জন্য দীর্ঘস্থায়ী নীতিগুলো ন্যাটো গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর সংশোধন করে।

তিনি সিউলের চেই ইনস্টিটিউটে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘আমরা যদি স্বাধীনতা, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, যদি আমরা স্বৈরাচার ও সর্বগ্রাসীভাবে জিততে না চাই তবে তাদের অস্ত্র দরকার।’

দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বব্যাপী একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ এবং সম্প্রতি ন্যাটো-সদস্য পোল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে বিপূল সংখ্যক ট্যাঙ্ক বিক্রির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে সক্রিয় সংঘাতের দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ। যে কারণে সিউল বলেছে যে, কিয়েভকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করা কঠিন। তবে অ-মারাত্মক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া গত বছর ন্যাটোতে তার প্রথম কূটনৈতিক মিশন চালু করেছে।
স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনের সংঘাত কখন শেষ হবে তা স্পষ্ট নয়, পুতিন আরো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং উত্তর কোরিয়াসহ দেশগুলো থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করছেন।

পিয়ংইয়ং মস্কোতে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং রোববার বলেছে ‘নিজেদের রচিত গুজব’ ছড়াতে থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাস্তবিকই অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলের সম্মুখীন হবে।
উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিভাগের মহাপরিচালক কোওন জং গুন বলেছেন একটি অস্তিত্বহীন কোনো কিছু তৈরি করে (উত্তর কোরিয়া) এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা গুরুতর উস্কানি যা কখনই অনুমোদিত হতে পারে না এবং এটি এর প্রতিক্রিয়াকে আতঙ্কিত করতে পারে না।

তিনি এটিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়ার প্রস্তাবকে ন্যায্যতা দেয়ার একটি অপকৌশল বলেও অভিহিত করেছেন।

সূত্র : সিএনএন ও এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com