যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমছে বলে দুটো জরিপে প্রতীয়মান হচ্ছে। একটিতে ৩ পয়েন্ট, অন্য জরিপে ২ পয়েন্ট পিছিয়েছেন তিনি। এর মানে, এই ডেমোক্র্যাট নেতা গড়ে আড়াই ধাপ পিছিয়ে পড়েছেন। গতকাল এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে সিএনএন বলছে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগের বছর জনপ্রিয়তায় এ ধরনের ভাটা বাইডেনের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় বটে। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি লড়বেন কিনা, তা এখনো প্রকাশ্যে ঘোষণা দেননি বাইডেন।
ঠিক কী কারণে এই সময় ভোটার জরিপে বাইডেনের পক্ষে সমর্থন কম পড়ল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি বাইডেনের বদনাম হচ্ছে সরকারি গোপনীয় নথি ব্যবস্থাপনায় তার ব্যর্থতা ও অনৈতিকতার জন্য। আবার সিএনএন বলছে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিও একটি কারণ হতে পারে।
সিএনএন বলছে, কোনো জরিপেই খুব বেশি পতন দেখা যাচ্ছে না। এমনকি তা জরিপের সাধারণ বিচ্যুতি সীমার মধ্যেই আছে। তবে অল্প সময়ে গড়ে আড়াই পয়েন্ট হারানো একেবারে উপেক্ষা করার জোও নেই জো বাইডেনের ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে। এই সময়েই বাইডেনের বিরুদ্ধে সরকারি শ্রেণিবদ্ধ নথি অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
একই ধরনের অভিযোগে তদন্ত চলছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। রিপাবলিকান এই নেতা আগামী নির্বাচনে লড়বেন বলে ঘোষণা দেওয়ার তিন মাস পর শনিবার প্রথম প্রচারসভাও করেছেন।
নথি অব্যবস্থাপনার দায়ে ট্রাম্প ও বাইডেনের তেমন কোনো আইনগত ক্ষতি হবে বলে মনে করেন না বিশ্লেষকরা। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওই সময় নথিকাণ্ডে যেসব কথা বলেছিলেন বাইডেন ও তার দলীয় নেতারা, এখন সেসব কথাই তাদের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে। অন্তত তারা চরম বিব্রত।