আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ডমিনেটর্স। অনেকটা চমকে দিয়েই আজ ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাসির হোসেনের দল। বিপরীতে প্লে অফ নিশ্চিত করার দৌঁড়ে অপেক্ষা বাড়লো বরিশালের। ঢাকার জয়ের পথে আসরের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন। তাছাড়া সৌম্য সরকারের ব্যাটেও দেখা গেছে রান।।
মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে সৌম্য সরকারকে এমন রূপে সর্বশেষ ঠিক কবে দেখেছেন, মনে করতে হয়তো ব্যর্থই হবেন। অবশ্য এমনটাই হবার কথা, একসময়ের চেনা এই রূপ যে এখন বড়ই অচেনা। তবে আজ সিলেটে দেখা মিললো পুরনো সেই সৌম্যের, আউট হবার আগে মুগ্ধ করেছেন সমর্থকদের। চার ৪ আর ২ ছক্কায় খেলেছেন ২২ বলে ৩৭ রানের ইনিংস।
সৌম্যকে এইদিন দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন। ৭.৪ ওভারে ঢাকার প্রথম ব্যাটার হিসেবে সৌম্য আউট হবার আগে দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৪ রান। সৌম্য আউট হবার পর মিথুনের ব্যাট চলে আরো জোরেশোরে, ৩৩ বলে তুলে নেন এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি। তবে এরপর ইনিংসটা আর আগায়নি, ৩৬ বলে ৫৪ রানে আউট হয়েছেন তিনি। দলের রান তখন ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০৩।
জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন তখন ৫২ বলে ৫৪ রান। সেখান থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন আর নাসির হোসেন মিলে গড়েন ১৬ বলে ১৯ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙে মামুন ২১ বলে ২৬ করে ফিরে গেলে। তবে বাকি কাজটা সমাধা করেন নাসির হোসেন। যদিও নিজের শেষ ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন সাকিব, তবে তা আর বাধা হতে পারেনি। ৫ উইকেট হাতে রেখেই ঢাকার জয় নিশ্চিত হয়, ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন নাসির।
এর আগে অনেকটা চমক দিয়েই টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ব্যাট হাতে চমক দেখাতে পারেননি সাকিব। তবে বিজয়, মাহমুদউল্লাহ আর করিম জানাতের ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে মান বাঁচানো সংগ্রহ পায় বরিশাল। ৮ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে তাদের ইনিংস।
আগে ব্যাট করতে নেমে ধীর-স্থিরে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লেতে এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসান মিলে যোগ করেন বিনা উইকেটে ৪১ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই পথ হারায় বরিশাল, ১৯ বলে ১৫ রান করে সাইফ হাসান ফিরলে প্রথম উইকেটের পতন হয়। দ্বিতীয় উইকেটের দেখা মেলে পরের ওভারেই, ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান বাউন্ডারি সীমানায় এলেক্স ব্লেকের অসাধারণ ক্যাচে বাঁধা পড়েন। তার ব্যাটে আসে ৪ বলে ৫ রান।
পরের ওভারে চার নাম্বারে নামা ইবরাহীম জাদরানকেও হারায় বরিশাল, ৪ বলে ২ রানে আউট হন এই আফগান ব্যাটার। পরপর ৩ ওভারে মাত্র ১২ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় বরিশাল। সেই ধাক্কা আরো জোরালো হয় ১০ বলে ১০ রান করে ইফতেখার আহমেদ ফিরে গেলে। ফলে ১০.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান তোলে কীর্তনখোলা পাড়ের দলটি।
তবে শুরু থেকেই একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন এনামুল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে চেষ্টা করেন তিনি। তবে তাদের জুটি খুব একটা বড় হয়নি, ২৬ রান আসে এই জুটি থেকে। বিজয় আউট হন ৩৫ বলে ৪২ রান করে। এরপর সালমানকে নিয়ে জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ, ২৮ বলে ৪২ রান আসে সেই জুটি থেকে।
১৮.২ ওভারে ২৭ বলে ৩৯ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে তাতে খুব একটা আক্ষেপে পুড়তে হয়নি বরিশালকে, করিম জানাত সেই ওভারে ৪ বল খেলেই সংগ্রহ করেন ১৬ রান। তবে শেষ ওভারে হাত খুলতে পারেননি কেউ, উল্টো ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। শেষ বলে আউট হবার আগে ৫ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন করিম জানাত। এর আগে সালমান আউট হন ১২ বলে ১৪ রানে।