বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

সবার আগে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেলো তামিমদের খুলনা টাইগার্স

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৭৬ বার

ইয়াসির আলী রাব্বি চেষ্টা করেছিলেন, তবে তা খুলনার জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি৷ ফরচুন বরিশালের কাছে ৩৭ রানে হেরে গেছে তারা। ফলে এখানেই শেষ হলো খুলনা টাইগার্সের শিরোপা স্বপ্ন। এখনো দুই ম্যাচ বাকি থাকলেও প্লে-অফে যাওয়া হচ্ছে না তামিমদের দলের। বিপরীতে শেষ ম্যাচে হারের পর ফের জয়ের ধারায় ফিরলো বরিশাল।

আগের ম্যাচে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল আজ খেলতে পারেননি ৩ বলও, দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়েছেন ১ রান করে। তবে শাইহোপ ও এন্ড্রু বালবির্নির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে খুলনা, দু’জনে মিলে ২৭ বলে যোগ করেন ৪৪ রান। বালবির্নি ১৩ বলে ১২ করে খালেদের শিকার হন।

এরপর দ্রুত আরো ২ উইকেট হারায় খুলনা। মাহমুদুল হাসান জয়কে ০ রানে ফেরান সাকিব আর শাইহোপকে ফেরান খালেদ। আউট হবার আগে ২৪ বলে ৩৭ রান করেন শাইহোপ। তবে এরপরই খুলনার ইনিংসের হাল ধরেন ইয়াসির আলী। নাহিদুল ইসলামের সাথে মিলে যোগ করেন ৫৯ বলে ৮১ রান। নাহিদুল ২৪ বলে ২৪ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

তবে জুটি ভাঙার আগেই এবারে আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন ইয়াসির আলী, ৩৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তবে বলের সাথে রানের পার্থক্য কমাতে গিয়ে ৩৮ বলে ৬০ করে আউট হন ইয়াসির। নাসুম আহমেদ করেন ৫ বলে ১০ রান। তবে লক্ষ্যস্থল থেকে ৩৭ রান দূরে থেকেই শেষ হয় খুলনার ইনিংস। ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করে খুলনা টাইগার্স। ২৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন করিম জানাত।

এর আগে সাকিব-ইফতেখারের ব্যাটে খুলনার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পায় ফরচুন বরিশাল। ইফতেখার আসরে নিজের চতুর্থ অর্ধশতকের দেখা পেলেও সাকিবের ব্যাটে আসে ঝড়ো ৩৬ রান। আর শেষদিকে করিম জানাতের ৮ বলে ১৬ রানের ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। শেষ পাঁচ ওভারেই আসে ৭৯ রান।

জন্মদিনের উপহার হিসেবেই হয়তো আজ ফজলে মাহমুদকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়েছিলে সাকিব। স্বাচ্ছন্দ্যেই সেই উপহার গ্রহণ করেছেন তিনি, আসরে প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে নেমে ২৯ বলে ৩৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন ফজলে মাহমুদ। এর আগে দুই ম্যাচে সুযোগ পেলেও ব্যাট হাতে নামা হয়নি, একটা বলও করা হয়নি৷

তবে আজ সুযোগ পেয়ে ভুল করেননি, দলকেও এনে দিয়েছেন দারুণ সূচনা। প্রথমে এনামুল হক বিজয়ের সাথে ২১ বলে ৩২ ও তারপর ইবরাহীম জাদরানের সাথে গড়ে তোলেন ৩৩ বলে ৪১ রানের জুটি। এনামুল আউট হন ৭ বলে ১২ রানে। ফজলে মাহমুদ যখন আউট হন, দলের রান তখন ৮.২ ওভারে ২ উইকেটে ৭৩ রান।

এরপর মাঠে আসেন সাকিব, আর স্বভাবতই সব আলো কেড়ে নেন তিনি। যদিও ইবরাহীম জাদরানের সাথে তার ইনিংসটা বড় হয়নি, ইবরাহীম আউট হন ২৩ বলে ২৩ রানে। তবে ইফতেখারকে সাথে নিয়ে দলের সংগ্রহ বাড়ানোয় মনযোগী হন সাকিব, দুজনে মিলে খেলতে থাকেন স্বাচ্ছন্দ্যে। গড়ে তোলেন অর্ধশতাধিক রানের জুটি। তাদের ৩৬ বলে ৫২ রানের জুটি ভাঙে সাকিব আউট হলে। ফেরার আগে ১ চার আর ৪ ছক্কায় ২১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব।

সাকিবকে আউট করেও রেহাই পায়নি খুলনা। ছয় নাম্বারে ব্যাটিং করতে এসে ইফতেখার আহমেদের সাথে ১৪ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে তোলেন করিম জানাত। তিনি ৮ বলে ১৬ রান করে শেষ ওভারে আউট হলেও ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ২ বলে ৫* রান। খুলনার হয়ে ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন পল ভ্যান মিকিরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com