যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ঋণের সীমা না বাড়ালে, খেলাপি ঋণ আটকাতে নেওয়া জরুরি ব্যবস্থাগুলো বন্ধ করে দেবে ট্রেজারি বিভাগ। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) এ শঙ্কার আভাস দিয়েছে। তারা বলছে, জুলাই এবং সেপ্টেম্বরের কোনো এক সময় কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
সিবিও পরিচালক ফিলিপ সোয়াগেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চূড়ান্ত তারিখটি নির্ধারিত হবে এপ্রিলে। সে মাসে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস) থেকে অর্থ আসবে। প্রত্যাশার চেয়ে যদি রাজস্ব কম আসে, তবে জরুরি ব্যবস্থাগুলো দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে জুলাইয়ের আগে ট্রেজারি তহবিল শেষ হয়ে যেতে পারে।’
পরবর্তী দশকে বার্ষিক ফেডারেল বাজেট ঘাটতির আকারের জন্য নিজের অভিক্ষেপও সংশোধন করেছে সিবিও। সংস্থাটির হিসাবে, সামনের ১০ বছরে মোট ঘাটতি দাঁড়াবে ১৮ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার; যা তাদের গত মে মাসে অনুমান করা ১৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান ঋণের সীমায় পৌঁছায়। এ সময়ে ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন একটি ধারাবাহিক পদক্ষেপের সূচনা করেছিলেন; যা ‘অসাধারণ ব্যবস্থা’ নামে পরিচিতি পায়। এই ব্যবস্থা সরকারকে তার বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য অর্থ ধার করার অনুমতি দেয়। সোয়াগেল বলেন, ‘কংগ্রেসে নতুন ঋণের সীমায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করার আগে যদি সেই ব্যবস্থাগুলো শেষ হয়ে যায়, তবে সরকারকে তার কিছু কার্যক্রমের জন্য অর্থ ছাড়তে বিলম্ব করতে হবে।’ ক্যাপিটল হিলের শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটরা বারবার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হবে না। শিগগিরই সরকার একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে এবং একটি সংকট এড়াতে সময়মতো বিল পাস করা হবে। রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত হাউস এবং ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত সিনেটের ওপর নির্ভর করে করা হবে আইন। হাউসে রিপাবলিকানদের একটি বড় অংশ কংগ্রেসের কাছে দাবি করেছে যে তারা ঋণের সীমা বাড়ানোর জন্য ভোট দিতে রাজি হওয়ার আগে ফেডারেল খরচে কঠোরভাবে কাটছাঁট করবে। রিপাবলিকানদের যুক্তি, ঋণের সীমা এবং বার্ষিক ফেডারেল ব্যয় অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত। একইভাবে পারিবারিক ঋণ পরিবারের ব্যয়ের একটি অতিপ্রয়োজনীয় অংশ।