স্বষোষিত অভিবাসনবিরোধী সংগঠন ফেডারেশন ফর অ্যামেরিকান ইমিগ্রেশন রিফর্ম (ফেয়ার) পরিচালিত এক গবেষণার ফলাফল নিয়ে ডানপন্থী মিডিয়াগুলোয় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ফক্স নিউজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ওই গবেষণার বরাত দিয়ে জানিয়েছে অবৈধ অভিবাসনের ফলে ২০২২ সালে ১৮২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে যুক্তরাষ্ট্রে মোট অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৫ মিলিয়ন। আর এই অভিবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে পাওয়া রাজস্বের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলার। ফলে ২০২২ সালে অবৈধ অভিবাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের ১৫১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছে ফেয়ার।
“দ্যা ফিসকাল বার্ডেন অভ ইল্যিগাল ইমিগ্রেশন অন ইউনাইটেড স্টেট্স ট্যাক্সপেয়ার্স ২০২৩” শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী ক্ষতির এই পরিমাণ পাঁচ বছর আগের তুলনায় ৩০% বেশি ছিলো। ফেয়ার-এর গবেষকরা জানান, ২০১৭ সালে অবৈধ অভিবাসনের ফলে সরকার রাজস্ব আয় বাদে মোট ১১৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলো।
অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসী এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাদের ঘরে জন্ম নেয়া শিশুদের খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সরকারের এই খরচ হয়ে থাকে। ফেয়ার-এর গবেষণায় এই খাতগুলোর মধ্যে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তাদের দাবি অনুযায়ী প্রতিবছর শুধু এই খাতে সরকারের ব্যয় হয় ৭৮ বিলিয়ন ডলার। প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বিপুলসংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ব্যয় হয়েছে ৪২.৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া অবৈধ পথে আসা অভিবাসীদের ফৌজদারী বিচারের কাজে ফেডারেল, স্টেট ও কাউন্টি পর্যায়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৭ বিলিয়ন ডলার।