স্ত্রীর সহযোগিতায় এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে স্বামী। আর এ অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছেন ওই দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের বাঘা যতীন এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, নির্যাতিতা তরুণী বাঘা যতীনের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা। তার মা নেই।বাবাও বেকার।তাই চাকরির সন্ধান করতেন ওই তরুণী।
গত রোববার কলকাতার পাটুলি থানায় করা অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন,তিনি বাঘা যতীন এলাকার একটি আশ্রমে যেতেন। সেখানে স্থানীয় ই-ব্লকের বাসিন্দা এক নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নিজের আর্থিক দৈন্যতার কথা তাকে বললে ওই নারী জানান, তার বাড়িতে এক দম্পতি ভাড়া থাকেন যারা ব্যাগ করাখানায় চাকরি করেন। তিনি ওই দম্পতিকে বলে তরুণীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এরপর বিষ্ণুপদ মণ্ডল এবং রণিতা মণ্ডল নামে ওই দম্পতি তরুণীকে দৈনিক ২০০ টাকা মজুরিতে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। চাকরি পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে নির্যাতিতা তরুণী গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওই দম্পতির বাসায় যান।
তরুণী অভিযোগ করেন, তিনি যখন ওই দম্পতির বাড়িতে যান তখন বিষ্ণুপদ বাড়িতে উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না রণিতা। এ সময় বাড়িতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বিষ্ণুপদ।
এর মিনিট পাঁচেক পরেই বাড়িতে ফেরেন রণিতা। কিন্তু তিনি তাকে সাহায্য করার বদলে উল্টো বিষ্ণুপদকে সাহায্য করেন। রণিতার সাহায্যেই তার সামনেই তরুণীকে ধর্ষণ করেন বিষ্ণুপদ।
নির্যাতনের শিকার তরুণী আরও জানান, প্রথমে লজ্জায় এবং ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি। কয়েকদিন পরে এক আত্মীয়কে ঘটনাটি খুলে বলেন তিনি। তারপর সেই আত্মীয়ের সহযোগিতায় গত রোববার রাতে পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল সোমবার সকালে ওই তরুণীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ণুপদ এবং রণিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ১১৪ (একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি একই অপরাধ ঘটানো) এবং ৫০৬ (ভয় দেখানো) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবারই ওই দম্পতিকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর মেডিকেল টেস্ট করা হবে। তার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।