অলিম্পিক ফুটবলের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে পাঠানো হয়নি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে। বাফুফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, টাকার সংকটই এর প্রধান কারণ। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীও নাকি ফোন দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে।
খেলাধুলার বিষয়ে অন্তঃপ্রাণ শেখ হাসিনাকে বিষয়টি কেন জানানো হয়নি সেটি ফোনে জানতে চাওয়া হয়। অথচ ক্রিকেটের বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী। ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে প্রধানমন্ত্রীকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের ফোন একটি নিয়মিত ঘটনা। ক্রিকেট দলের জয়ে নিয়মিত অভিনন্দন বার্তা জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের পর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন পাপন। সালাউদ্দিনের সেই কথার প্রতিক্রিয়ায় পাপন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফোন করলে আমি যেখানেই থাকি, যেমন অবস্থায় থাকি ফোন ধরবোই। আমি জানি না, এটা নিয়ে কেন বলেছে। এটি নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
পাপন মনে করেন, টাকা কোথায় গেছে সে প্রশ্ন করাতেই ক্ষেপেছেন সালাউদ্দিন। রহস্য রেখে পাপনের ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় সমস্যাটা আপনাদের (সাংবাদিকদের)। আপনারা এত বাজে প্রশ্ন করলেন কেন? আপনারা জানতে চান, টাকা কী করছে। এমন প্রশ্ন করতে যান কেন? এটা করলে তে উনার মাথা খারাপ হবে, এটা সবাই জানেন।’
নিজের ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কথা বলেছিলেন সালাউদ্দিন। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেছেন, ‘সব জায়গাতেই সবধরনের জিনিস আছে। যেমন ধরেন ব্যাকগ্রাউন্ড। এখন সব ফুটবলার, ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড মানেই কী নির্লজ্জ, বেহায়া, অহংকারী এটা বলা যাবে? তো? ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক কী আমি জানি না। এটা ব্যক্তির ব্যাপার।’
এসব ব্যাপারে মন খারাপ নেই পাপনের। বলেছেন, ‘যে যত কথাই বলুক, এগুলা নিয়ে মন খারাপ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। কে বলছে এটা সবচেয়ে বড় কথা। এ ধরনের লোক বললে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে মেয়েরা যেতে পারল না। তাও মাত্র ২০ লাখ টাকার জন্য। …বললে আমাদের খেলোয়াড়রাই দিয়ে দিত।… ফুটবল বোর্ডে যে সমস্ত পরিচালকরা আছে, তারা ২০ লাখ টাকা দিতে পারে না? অনেকের দৈনিক খরচই আছে ২০ লাখ টাকা।’