বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে সশস্ত্র ২ গ্রুপের গোলাগুলিতে ৮ নিহতের ঘটনায় পাহাড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়ে গ্রাম ছাড়ছে খেয়াং জনগোষ্ঠীর মানুষ। এদিকে ৮ জনের মরদেহ নিতে আসেনি পরিবারের সদস্যরা। পরে মরদেহগুলো বম অ্যাসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত শেষ হয়। পরিবারের সদস্যরা মরদেহ গ্রহণ করতে না আসায় বম জনগোষ্ঠীর সংগঠন বম অ্যাসোসিয়েশনের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি লালজার বম মরদেহগুলো গ্রহণ করে দাফনের জন্য নিয়ে যান। তবে অজ্ঞাত আরেকটি মরদেহ রোয়াংছড়ি উপজেলায় সৎকার করা হয়েছে।
এদিকে সশস্ত্র দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পাহাড়ে। আতঙ্ক কাটেনি রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছে খামতাং পাড়ার খেয়াং জনগোষ্ঠীর দেড় শতাধিক পরিবার। তাদের মধ্যে রোয়াংছড়ি সদরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৯০টি পরিবার। অন্যদিকে রুমায় আশ্রয় নিয়েছে ৯০টি পরিবার। আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে বম জনগোষ্ঠীর ৮ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ফেসবুক পেজ থেকে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ঘোষণা না মানলে চলন্ত গাড়িতে ব্রাশ ফায়ার করা হবে। এ নিয়ে পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাং পাড়ার কাছে শুক্রবার সকালে সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন- ভানদু বম (৩৫), সাংখুম বম (৪৫), সানফির থাং বম (২২), বয়ে রেম বম (১৭), জাহিম বম (৪০), লাল লিয়ান নাং বম (৪৪) এবং লালঠা জার বম (২৭)। অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি।