মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

নাঈম-তাইজুলের ঘূর্ণি জাদুতে দিন শুরু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৬৪ বার

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানের মধ্যে আটকে রাখার পর ব্যাট করতে নেমে ৫৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ২৯৫ রানের লিডে খেলতে নেমে গতকাল সোমবার শেষ বিকেলে প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিন সকালে তাইজুল-নাইমের ঘূর্ণি জাদুতে দারুণ শুরু করে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান। ক্রিজে আছেন মারুমা ৩ ও সিকান্দার রাজা ৩৩ রানে। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে হলে এখনো করতে হবে ১৮১ রান।

আজ খেলতে নেমেই ষষ্ঠ ওভারে কাসুজাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্লিপে মোহাম্মদ মিথুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন কাসুজা। তখনো মাঠে ছিলেন অভিজ্ঞ টেইলর। এবার আঘাত হানেন নাঈম হাসান। টেইলরকে তাইজুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তিনি। টেইলরের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। দুজন দিনের শুরুতে ফিরে গেলেও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ক্রেইগ আরভিন খেলছিলেন দুর্দান্ত। মুমিনুলের দুর্দান্ত থ্রোতে বেশিদূর যেতে পারেননি, রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪৩ রান করেই।

এর আগে মুশফিকের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি আর মুমিনুলের শতকের পর নাঈম হাসানের ভেলকিতে তৃতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি হওয়ার পরেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ততক্ষণে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ছয় উইকেট হারিয়ে ৫৬০ রান। জিম্বাবুয়েকে ২৯৫ রানের লিড দিয়েছে টাইগাররা।

এই রানের লিড মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। পাঁচ ওভার হওয়ার পরেই তৃতীয় দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দুই উইকেট হারিয়ে ৯ রান। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে হলে জিম্বাবুয়েকে এখনো করতে হবে ২৮৯ রান।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২০৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। ৩১৫ বলে ৪৩৪ মিনিটে ২৮টি চারে তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করেন। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে তিনটি ডাবলের মালিক মুশফিক। ৯৫ থেকে ৯৯ রানে এসেছিলেন চার মেরে, ১০০ রানের ঘর ছুঁতে ৯ বল খেলেন মুশফিক। ১৬০ বলে ২৩০ মিনিটে ১৮টি চারের মারে ১০০ রান করেন বাংলাদেশের এই ব্যাটিং স্তম্ভ।

১৫০ রানও পূর্ণ করেন চার মেরে। ২৫৪ বলে নাইউচিকে চার মেরে এই রান করেন। ১৫০ থেকে ২০০ রান করতে মুশফিক বল খেলেন মাত্র ৬১ টি। ১৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। মুমিনুলের আউটের পর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুন। ১৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। তাইজুল ১৪ রান করে মুশফিকের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন এনডলবু।

এর আগে প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৬৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও নাঈম হাসান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com