নবম শ্রেণিতে পাঠক্রমে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা বিভাজনের দরকার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যোগ্যতা প্রকাশে এসএসসি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী একই বিষয় নিতে পারবে।
বুধবার সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭২ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে সবাইকে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই বিষয়ভিত্তিক বিভাজনের কোনো দরকার নেই। কারণ প্রত্যেকে এসএসসি পর্যন্ত সব বিষয় অধ্যয়ন করতে পারে। এসএসসির পরে বিভাজন করা ভাল, কমপক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের যোগ্যতা বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে এই বিষয়ভিত্তিক বিভাজন নেই। পাকিস্তান শাসনামলে ১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান এ পদ্ধতি চালু করেছিলেন। ‘আমি মনে করি, এটা এখন না থাকাই ভালো।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব বিষয় এখন বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত এবং বিজ্ঞানের পরিধির বাইরে কিছুই নেই।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তি নির্ভর শিল্প বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আরো সমৃদ্ধ হবে।
‘আমাদের জনসংখ্যার প্রয়োজন হবে। আমরা যদি আমাদের জনগণকে যথাযথ শিক্ষা ও দক্ষতা দিয়ে গড়ে তুলতে পারি তবে আমাদের জন্য মোটেই কোনো সমস্যা হবে না, বরং আমরা অন্যান্য দেশগুলোকে সহায়তা করতে পারি। আমরা সেভাবে কাজ করতে চাই,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষার বহুমুখীকরণের উপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটা বিদেশে কর্মসংস্থানের পথ সুগম করবে এবং একই সাথে দেশকে অগ্রসর করবে।
‘শিক্ষার বিকাশের জন্য এবং একটি শিক্ষিত জাতি হওয়ার জন্য, যা যা প্রয়োজন, আমরা তা করবো।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এবং শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন।
সূত্র : ইউএনবি