মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন

“যেভাবে মারা গেল আমার ২ জান্নাত”

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ৩৩ বার

ঘড়ির কাঁটা তখন দুইয়ের ঘর ছুঁই ছুঁই। গাজাজুড়ে বিরাজ করছে রাত্রিকালীন নীরবতা। সবাই গভীর সুখনিদ্রায় সমাহিত। হঠাৎ রাতের কালো ভেদ করে ধেঁয়ে আসে কয়েকটি রকেট। বিকট আওয়াজে জেগে ওঠে গাজা। ধুকপুক শুরু করে গাজাবাসীর বুক। ‘আজো কোনো মায়ের বুক খালি হবে। চোখের সামনে তিরোহিত হবে নাড়ি ছেঁড়া ধন।’

সবাই সম্ভাব্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিল। অপেক্ষা করছিল ‘ভোরের’। এ সময় বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে আমার ঘর। আমরা আল্লাহকে ডেকে ওঠি। ইতোমধ্যে শোঁ শোঁ আওয়াজে গাজা ছেড়ে যায় ঘাতক রকেট।

আমি ঘর থেকে বের হই। আশা-উৎকণ্ঠায় ডাক দেই, দানিয়া! ঈমান! গলায় স্বর নামে না। তবুও উচ্চস্বরে ডাক দেই, দানিয়া! ঈমান! নাহ, ও ঘর থেকে কোনো আওয়াজ আসে না। আর বুঝতে বাকি রয়নি কিছু।

ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলাম। সামনেই পড়ে ছিল দানিয়ার নিথর দেহ। পরীক্ষা করে দেখলাম, নাহ, প্রাণ পাখি নিজ আবাসে ফিরে গেছে। ভেতরটা বেদনায় বিষিয়ে ওঠল। মনকে শক্ত করে অগ্রসর হলাম। ঈমানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। তাকে দেখা গেল নিভু নিভু প্রাণ। ভেতরে জোনাক জ্বলে উঠল। দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করলাম। কিন্তু বড় বোনের প্রতিই তার বেশি মায়া হলো। আমাদের ছেড়ে সেও চলে গেল।

আমার আরো তিন মেয়ে আছে। তারা বিবাহিত। তারাও নিয়মিত আমার বাড়িতে থাকত। ঘটনার দিন তারা বাড়িতে ছিল না। নয়তো আমার বেঁচে থাকার মতো কোনো উপসর্গ থাকত না।

সূত্র : আল জাজিরা মুবাশ্বির

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com