সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

জালালাবাদ এসোসিয়েশনের অর্থ কেলেংকারিতে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিসের তদন্ত শুরু

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ৫৬ বার

জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস তদন্ত শুরু করেছে। সংগঠনের তহবিল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন ও তা ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের অভিযোগ আনে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র কার্যকরি পরিষদ। গেল সপ্তাহে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস বাদী পক্ষের স্টেটমেন্ট গ্রহন করে। তারা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সংবিধানের কপি ও বিভিন্ন সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ উপস্থাপন করেন। এটি একটি ক্রিমিনাল কেস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কেসটির ওপর তদন্ত অব্যাহত থাকবে। এটর্নি অফিস জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদেরও বক্তব্য নেবেন। করোনাকালীন সময়ে নন প্রোফিট সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আড়াই লাখ ডলার কিভাবে ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে একটি কনস্ট্রাকশন ফামের্র একাউন্টে জমা হলো তাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারি অফিসাররা।

বর্তমান ট্রার্স্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য হলেন এটর্নি মইন চৌধুরী। জালালাবাদের সংকট নিরসনে সমঝোতা ও আপোষের কোন পথ এখনও খোলা আছে কিনা জানতে চাইলে জ্বনাব মইন চৌধুরী বলেন, এখনও আছে। তবে উভয় পক্ষকেই নরম হতে হবে। গেল সপ্তাহে পৃথক পৃথকভাবে উভয় পক্ষের সাথে ট্রাস্টিবোর্ড বসেছিল। তাদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। সমঝোতার কাছাকাছি আসতে আমরা পারিনি। এভাবে সমাধান না হলে কোর্টে ফয়সালা কি সম্ভব? জবাবে তিনি বলেন, কোর্টেও সমঝোতা হতে পারে। তবে তা পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারলে সবচেয়ে উত্তম।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জালালাবাদ এসোসিয়েশনের প্রবীন এক নেতা বলেন, ট্রাস্টিবোর্ডের সভায় মইনুল বাড়ি (জালালাবাদ ভবন) হস্তান্তরের জন্য ১.২ মিলিয়ন দাবি করেছেন। এই মূল্যে জালালাবাদ এসোসিয়েশন বাড়িটি নিতে আগ্রহী নয়। জালালাবাদ এসোসিয়েশন বাড়িটি গ্রহন করলে মর্টগেজ প্রদানে সমস্যায় পড়তে হবে। বরং তারা সংগঠনের সাড়ে ৩ লাখ ডলার মইনুলের কাছ থেকে ফিরে পেতে আগ্রহী।

আইনী পদক্ষেপের ব্যাপারে জালালাবাদের সভাপতি বদরুল খানের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি বলেন, আমাদের ফোকাস এখন ১১ জুনের সাধারন সভার দিকে। এটিকে সাফল্যমন্ডিত করাই বড় দায়িত্ব। মইনুল ইসলামের ব্যাপারটি আইনী প্রক্রিয়াধীন আছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে সংগঠনের অর্থ লোপট করে কেউ রেহাই পাবে না। জবাবদিহিতার আওতায় একদিন আসতেই হবে। মনে রাখতে হবে জালালাবাদের অর্থ সিলেটবাসীদের আমানত। ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, ২০২১ সালে নবায়নকৃত সদস্য ও আজীবন মেম্বারদের নিয়ে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই সংগঠন পরিচালনায় করনীয় ও দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন মাননীয় সদস্যরা। আসুন সবাই মিলে ঐতিহ্যবাহী জালাবাদকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে বৈঠক ও আইনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাময়িক বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। তারা বদরুল খান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে বেঠক করে একটি প্রস্তাব নিয়ে আবারও আমার সাথে আলোচনা করবেন। মইনুল বলেন, এ ছাড়া অনেক কিছই নির্ভর করছে ১১ জুনের সাধারন সভার ওপর।

আইনী প্রক্রিয়া প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন প্রমান আপনার (সাংবাদিক) কাছে আছে? কে বা কারা আপনাকে এটি বলেছে। জ্বনাব মইনুলকে প্রতিবেদক সোর্স এর নাম উল্লেখ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাকে নিশ্চিত করা হয় প্রতিবেদকের তথ্যটি শতভাগ সঠিক। জালালাবাদের তহবিলের অর্থ উত্তোলনের ওপর তদন্ত শুরু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com