সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যার সর্বশেষ ঘটনা লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ-ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে। ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে হওয়া এই খেলায় ভিনিসিয়ুসকে উদ্দেশ্য করে বেশ কয়েকবারই বর্ণবাদী মন্তব্য করেন গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা। মাঠেই তখন প্রতিক্রিয়া দেখান এই ব্রাজিলিয়ান। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বর্ণবাদ প্রসঙ্গে একটি লম্বা স্ট্যাটাস দেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
এর প্রেক্ষিতে ভিনিসিয়ুস লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাসের প্রশ্নের মুখে পড়লেও পাশে পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদসহ বিভিন্ন ক্লাবে খেলা ফুটবলারদের। তার পোস্টে সমর্থন জানিয়ে কমেন্ট করেছেন তার রিয়াল সতীর্থ থিবো কুর্তোয়া, রদ্রিগো গোয়েজ, লুকা মদ্রিচ, টনি ক্রস, ডেভিড আলাবা, এদার মিলিতাও, দানি সেবায়োসরা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জ্যাডন সাঞ্চো, আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিরাও ভিনিসিয়ুসকে সমর্থন জানিয়েছেন। ভিনিসিয়ুসের ঘটনায় কথা বলেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাও। এছাড়া ব্রাজিলের বিভিন্ন ক্লাবও কথা বলেছেন বর্ণবাদের এই ঘটনায়।
আলাদাভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে ভিনিসিয়ুসের পাশে দাঁড়িয়েছেন পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে, ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও, ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক রিও ফার্ডিনান্ড ও নেইমার জুনিয়র। এবার ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও পাশে দাঁড়িয়েছেন ভিনিসিয়ুসের।
এক বিবৃতিতে ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘ভিনিসিয়ুসের প্রতি পূর্ণ সংহতি। ফুটবলে বা সমাজে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। এমন অবস্থায় (বর্ণবাদের শিকার) পরা সকল খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে ফিফা।’
বিবৃতিতে ইনফান্তিনো আরো উল্লেখ করেন, ‘ভ্যালেন্সিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচের ঘটনাটি দেখিয়ে দেয়, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। এ কারণেই ফিফা প্রতিযোগিতায় তিন ধাপের প্রক্রিয়া আছে এবং ফুটবলের সব স্তরে তা অনুসরণ করতে বলা হয়। প্রথমত, আপনি ম্যাচ বন্ধ করে দিবেন এবং এটি (বর্ণবাদের বিষয়টি) ঘোষণা করবেন। দ্বিতীয়ত, খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে চলে যাবে স্পিকারে ঘোষণা দিতে হবে, আক্রমণ (বর্ণবাদী) চলতে থাকলে ম্যাচ স্থগিত করা হবে। পুনরায় ম্যাচ শুরু হবে এবং তৃতীয়ত, আবারও আক্রমণ চলতে থাকলে ম্যাচ বাতিল করা হবে এবং প্রতিপক্ষ (বর্ণবাদের শিকার দল) ৩ পয়েন্ট পাবে।’