দিন যত যাচ্ছে করোনা ভাইরাস তত বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে জীবাণুটির আচরণে বিশেষ পরিবর্তন আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি করোনা আক্রান্ত কোনো দেশেই ভ্রমণ করেননি বা আক্রান্তের সংস্পর্শে যাননি। এ কারণে তিনি ঠিক কী কারণে আক্রান্ত হয়েছেন, তার কূলকিনারা করতে পারছেন না মার্কিন স্বাস্থ্যকর্মীরা। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৫৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সান্তা ক্লারা বলেন, একজন বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন। কর্তৃপক্ষ আরও জানান, তিনি এমন কোনো দেশ ভ্রমণ করেননি যেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে অথবা করোনা আক্রান্ত রোগীর সঙ্গেও তার কোনো সংযোগ ছিল না। কর্মকর্তাদের দাবি, জীবাণুর এই বৈশিষ্ট্যটি এখনো ব্যাখ্যাতীত। এ ছাড়া আরেকজন হাইস্কুল শিক্ষার্থীর দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যার রহস্যের কিনারা করতে পারছেন না গবেষকরা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় ডেমোক্র্যাটরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন।
করোনা ভাইরাস সাধারণত আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গেলে বা ওই এলাকা থেকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ছড়িয়েছে, এটিই কি প্রথম। উত্তর হচ্ছে ‘না’। এর আগে ফ্রান্সে একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল, যার সঙ্গে করোনা আক্রান্ত এলাকা অথবা করোনা আক্রান্ত রোগীর কোনো ধরনের যোগাযোগ ছিল না। বলা হচ্ছে, জীবাণুর এই বৈশিষ্ট্যটি প্রকট হলে এর বিস্তার রোধ করা মুশকিল হবে। গতকাল সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, নাইজেরিয়ায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার শুধু একদিনেই দেশটিতে ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৫০ জনে। ইতোমধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ইতালি ও ইরানের পরিস্থিতি বেশ নাজুক। চীনের বাইরে মূলত করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালি।