ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার মানুষের আস্থাহীনতার জায়গায় নেমে গেছে। বিনিয়োগকারীরা দু’কদম আগালে এককদম পিছিয়ে যায়। বাজারে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের অপেক্ষায় আছে তারা। এটি সাধারণ ও গণমানুষের বাজার। তাই সরকারের উচিত এই বাজারকে চাঙ্গা করতে বাজেটের মাধ্যমে দৃষ্টি দিয়ে বিনিয়োগবান্ধব করা।
তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা কিছুই পাইনি। তবে এটা পুঁজিবাজার বিরোধী বাজেট হয়েছে সেটা আমরা বলবো না।
মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও রুবাবা দৌলা। ডিএসইর ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তরাও উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, বাজেট এখনো অনুমোদন হয়নি। তাই পুঁজিবাজারে আপনারা কোনো ধরনের কর আরোপ করবেন না। করারোপ করে এটাকে আঘাত করা হলে দেশের এই পুঁজিবাজার দুর্বল হয়ে যাবে। বিপরীতে মানুষের আস্থা হারাবে।
তিনি বলেন, মনে করি দীর্ঘদিন পুঁজিবাজার একা একা চলতে পারে না। সকলের সহযোগিতা নিয়েই চলতে হবে। এই পুঁজবাজার থেকেই সরকার তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য তারল্য যোগান পেতে পারে। অর্থের জন্য সরকারকে অন্য কোথাও দৌড়াতে হবে না।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে সরকার এ খাতের ওপর হয়ত করারোপ করেননি। কিন্তু আমাদের চাওয়া পাওয়াতেও দৃষ্টিপাত করেনি। আমরা চাই সরকার বন্ডের সুদের আয়ে ওপর কর অব্যাহতি দেবে। এতে করে দেশের বন্ডবাজার চাঙ্গা হবে। আমরা দ্বৈত কর পরিহারের দাবি করছি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর কর হার ব্যবধান ১০ শতাংশ করা উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার পুরোটাই পেপারলেস হওয়া দরকার। আইটি ভিত্তিক এই বাজার হতে হবে। তাহলে সারভাইভ করবে বাজার।
তিনি বলেন, বাজারকে চালাতে হলে বড় বড় বিনিয়োগকারীদেরকে আনতে হবে। শুধু ছোট ছোট বিনিয়োগকারীদের দিয়ে হবে না। বর্তমান সরকার বিগত দেড় দশকে দেশের অবকাঠামোগত বহুবিধ উন্নয়ন করেছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা বহুমুখি সেতু, মেট্রোরেল ইত্যাদি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের (শিল্প মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়) আওতাধীন সরকারের হাতে থাকা কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনার উদ্যোগ নিতে হবে৷ বাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহের লক্ষ্যে বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে অর্থনীতির মূলধারায় আনয়নের ব্যাবস্থা করতে হবে।