চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে। আগামী ১১-১২ জুনের আগে সারা দেশে একযোগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এরপর দেশজুড়ে বৃষ্টি হলে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদর। আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগের বাকি ৯ জেলা, রংপুরের বাকি ছয় জেলা, রাজশাহীর বাকি সাত জেলা, ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা, ময়মনসিংহের চার জেলা, সিলেটের চার জেলা, বরিশালের ছয় জেলা এবং চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ সময় বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য জায়গায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে, ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের মাত্র চারটিতে বৃষ্টির খবর মিলেছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বান্দরবানে, ১২ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সারা দেশে একযোগে বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ ও গরমের এই অসহনীয় অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে।’
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।