নিউইয়র্কে ১ মার্চ রোববার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে পাতলা প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগের ব্যবহার। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে নানা সমস্যা বিরাজ করছে। এখন সবার দৃষ্টি কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগ। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন গ্রোসারী ও সুপার মার্কেটে সওদা ক্রয়ে অন্য ব্যাগ ব্যবহার বেড়েছে। নিউইয়র্কে প্রতি বছর ২৩ বিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হতো বলে ষ্টেট সূত্রে জানা গেছে। খবর ইউএনএ’র।
রোববার সিটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ পরিহার করে নতুন ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করছে। এতে খানিকটা অসুবিধা হলেও বৃহত্তর স্বার্থে তা সবাই মেনেও নিচ্ছেন। তবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসতে খানিকটা সময় লাগবে বলে একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা জানান। কোন কোন স্টোরে এক একটি ব্যাগ ৫০ সেন্ট বা এক ডলার করে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ত্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে। কেননা, আগে প্লাস্টিক ব্যাক ফ্রি দেওয়া হতো। এখন আর সেই সুযোগ নেই।
বিশ্বের প্রায় সব দেশে এবং সব শহরেই প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার হচ্ছে। দামে সস্তা এবং সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় এর ব্যাপক ব্যবহারে ক্রেতা-বিক্রেতারা অভ্যস্থ হয়ে পড়েছেন বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু ব্যবহারে যতটা সহজ পরিবেশের জন্য ততটাই ক্ষতিকর এই প্লাষ্টিক ব্যাগ। প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন প্লাষ্টিক ব্যাগ ব্যবহারের ফলে প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাব পরছিলো।
ফলে গত বছরের মাঝামাঝি নিউইয়র্কের আইন সভায় পরিবেশ দূষণকারী একবার ব্যবহাযোগ্য এই প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যাগের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যা ১ মার্চ ২০২০ থেকে যা কার্যকর হলো।
নিজেদের ব্যবসার কিছুটা ক্ষতি হলেও পরিবেশের কথা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই কাজ করার কথা জানিয়েছেন নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীরা।
তবে পরিবেশের দেখভালের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হন সেদিকটি দেখতেই নিউইয়র্ক সিটির মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে ২০২০ সালে এই প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবাহার নিষিদ্ধ করা হলেও বাংলাদেশে দেড় যুগ আগেই এই ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন আইনের ফলে কেউ প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করলে প্রাথমিকভাবে তাকে সতর্ক করা হবে। পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে ১০০ ডলার জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার আইন না মানলে সংশ্লিস্টকে ৫০০ ডলার জরিমানা করা হবে।