নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল দাবি করেছেন, তিনি অভিবাসী সঙ্কট সামাল দেওয়ার কাজে নেতৃত্ব দিলেও স্থানীয় প্রবল বিরোধিতার মুখে আশ্রয়প্রার্থীরা আপস্টেটে যাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি মেয়র এরিক অ্যাডামসের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
আলবানিতে সাংবাদিকদের হোকুল বলেন, ‘একজন গভর্নর যেভাবে নেতৃত্ব দিতে পারে বলে মনে করা হয়, আমি সেভাবেই কাজ করছি। আমি সানি ক্যাম্পাস, সাইকিয়াট্রিক সেন্টার, সাবেক কারাগারসহ আমার নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্ভাব্য সকল এলাকা জরিপ করে বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, মেয়র এসব স্থান বেছে নেবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার তার। অবশ্য তিনি জানান, প্রতিরোধের বদলে যেখানে অভিবাসীদের তুলনামূলকভাবে স্বাগত জানানো হতে পারে, সে সব স্থানে অভিবাসীদের পাঠাতে তিনি মেয়রের ওপর চাপ প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন।
নগরীতে প্রতিদিন আসতে থাকা বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর থাকার জায়গা দিতে নিউইয়র্ক সিটি ও স্থানীয় সরকারগুলোর মধ্যে যে মুখোমুখি অবস্থান দেখা যাচ্ছে, তা সমাধানে মেয়রের নিস্ক্রিয় মনোভাবে সন্তুষ্ট নন হোকুল।
গত বছর থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে অভিবাসী আসছে। এখন পর্যন্ত আগত অভিবাসীর সংখ্যা ৭৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত সপ্তাহেই পাঁচটি বরায় অভিবাসী এসেছে প্রায় ২,২০০ জন।
গভর্নর অভিবাসীদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা করার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের ১,৬০০ সদস্যকে কাজে লাগিয়েছেন। এছাড়া ম্যানহাটানের সাবেক লিঙ্কন কারেশনাল ফ্যাসিলিটি এবং কুইন্সের জেএফকে এয়ারপোর্টে অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তবে অভিবাসী সঙ্কট সমাধানে তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তিনি আশা করছেন যে বাইডেন প্রশাসন এই সমস্যা সমাধানে আরো অর্থ দেবে, অভিবাসীদের কাজ করার অনুমতি দেবে এবং অভিবাসীদের থাকার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে জায়গার সংস্থান করবে।
এদিকে নিউইয়র্কে স্থানীয় সরকারগুলোর মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে। অ্যাডামস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নতুনভাবে আইনগত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে রকল্যান্ড। আরো ডজনদুয়েক কাউন্টির সাথে তারাও তাদের কাউন্টিতে অভিবাসীদের রাখতে চাচ্ছে না।