দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আঁচ লাগছে ভারতের অন্যান্য স্থানেও। সোমবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমে বুলন্দশহরে প্রকাশ্য রাস্তায় দু’জন মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক দল উগ্র কট্টরপন্থী যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, হামলাকারীরা দিল্লির প্রসঙ্গ টেনে ধর্ম তুলে কটূক্তি করে ওই দুজন মুসলিম ব্যক্তিকে। গোহত্যাকারী বলে গালিগালাজ করে অ্যাসিড হামলার হুমকি দেয় তারা। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনার কোনো যোগাযোগ রয়েছে, তা মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
বুধবার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে এই ঘটনার ভিডিওটি। সেখানে দেখা যায়, ওই দুজন মুসলিমকে ঘিরে ধরে লাঠিপেটা ও ঘুষি মারছে ছয়-সাত জনের একটি দল। যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে প্রাণভিক্ষা করতে দেখা যায় আক্রান্তদের। এক সময়ে দেখা যায়, হলুদ প্যান্ট ও কমলা জ্যাকেট পরা এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি গাড়ির পিছনে লুকিয়ে থাকা এক জনকে টেনে বার করে লাঠিপেটা করছে। হামলাকারীদের ‘ভাই’ বলে ডেকে ছেড়ে দেয়ার জন্য কাকুতিমিনতি করতে থাকেন তারা। ভিডিওটি কে তুলেছে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে দুই মুসলিম ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনাটি মোটরসাইকেলে বসে কয়েক জন দেখলেও তারা এসময় নির্লিপ্ত মুখে কেবল বসেই ছিলেন।
আক্রান্তদের এক জন পুলিশকে বলেছেন,‘আমরা গাজর কেনার জন্য বাজারে যাচ্ছিলাম। ওরা আমাদের সামনে এসে বাইক থেকে নেমে আমাদের টেনেহিঁচড়ে রাস্তার এক দিকে নিয়ে যায়। ছয়-সাত জন দুর্বৃত্ত ছিল। ‘এটা দিল্লি পেয়েছিস না কি!’, এই প্রশ্ন করে মারতে শুরু করে। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাদের টানতে টানতে আর একটি জায়গায় নিয়ে যায় হামলাকারীরা। সেখানে চেন ও অস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল কয়েকজন। এক আক্রান্ত বলেছেন,‘দিল্লির ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা এখানে সবাই ভাই-ভাই।’
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে তাদের বক্তব্য, এর সঙ্গে দিল্লির ঘটনার কোনো সংশ্লিষ্টতা খোঁজা অর্থহীন। পুলিশ জানিয়েছে, ইভটিজিংয়ের ঘটনা থেকে মারামারির সূত্রপাত। পুলিশের এফআইআর-এও এই হামলার পিছনে কী কারণ তা উল্লেখ করা হয়নি। সূত্র : আনন্দবাজার