শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

ভারতের মণিপুরে হিন্দু-খ্রিস্টান দাঙ্গা থামেনি ৫০ দিনেও

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
  • ৩৫ বার
ছবি : বিবিসি

ভারতের মণিপুর জ্বলছে ৫০ দিন ধরে। তার সাথেই জ্বলছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যটির শত শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য।

জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে একটা স্বপ্ন, যেখানে মেইতেই, কুকি আর নাগা সম্প্রদায়ের মানুষরা পুরনো দ্বন্দ্ব মুছে ফেলে একসাথে থাকতে পারত।

পারস্পরিক বিশ্বাস ঠেকেছে একদম তলানিতে, বেড়েছে হতাশা।

তারই ফল হল মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার দেড় মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ।

মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩৯০ জন আহত হয়েছেন।

তবুও সহিংসতা থামছে না, বাঁধ ভাঙ্গছে স্থানীয় মানুষের ধৈর্যের।

‘সরকারের সাথে গৃহযুদ্ধ’
মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরেই তফসিলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।

আর এই দাবিটাই কুকি সম্প্রদায়ের সাথে তাদের চলমান বিবাদের মূল উৎস।

মে মাসের ৩ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত পুরো রাজ্যে ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল, মেইতেই আর কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরকে টার্গেট করেছিল।

রাজধানী ইম্ফল থেকে ঘণ্টা দুয়েক দূরের পথ কুকি-অধ্যুষিত চুড়াচাঁদপুর জেলা। সেখানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছিল সেই সময়ে, তখন সেখানেই ছিলেন ২৩ বছর বয়সী অ্যালেক্স জামকোথাং।

হঠাৎই ওপরের একটি ভবন থেকে একটি গুলি এসে তার বুক চিরে চলে যায়। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে।

তখন থেকে অ্যালেক্স জামকোথাংয়ের মা ঘুমোতে পারছেন না, মাঝে মাঝেই কেঁদে উঠছেন।

অ্যালেক্সের বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন এবং ভাই এখনো ভারত-তিব্বত সীমা পুলিশে কর্মরত।

বাড়ির ছেলের শেষকৃত্য এখনো করেননি জামকোথাং পরিবার।

অ্যালেক্সের ভাই বলছিলেন, ‘এখানে আমাদের জীবন বিপন্ন। কখন কি হবে, কে মরবে, কেউ জানে না। কেন্দ্রীয় সরকার যদি আদিবাসীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা না দেয়, তাহলে যেমন আমরা মানব না, আবার মেইতেইরাও রাজি হবে না। এখন যা চলছে, তা সরকারের সাথে গৃহযুদ্ধ। সরকার আমাদের দাবি না মানলে মর্গ থেকে ভাইয়ের লাশ বের করব না আমরা।’

বিভাজন রেখাটা খুব স্পষ্ট
মণিপুর এখন আসলে দু’টুকরো হয়ে গেছে, যার একটা অংশে আছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ, অন্য অংশে রয়েছেন কুকিরা।

এই সহিংসতা এক, দুই বা চার দিনের নয়, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে। পরিবার ধ্বংস হয়েছে, বাড়িঘর জ্বলে পুড়ে গেছে, উজাড় হয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জ।

যে ধরনের ফাটল দেখা যাচ্ছে মণিপুরী সমাজে, তা দীর্ঘমেয়াদের জন্যই থেকে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।

স্বাধীনতার পর থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি সম্প্রদায় তফসিলি উপজাতির মর্যাদা পেয়েছে, অন্যদিকে মেইতেইরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাদের একটা অংশ যেমন সংরক্ষণের সুযোগ-সুবিধা পাননি, তেমনই আরেকটি অংশ আবার তফসিলি জাতিভুক্ত হয়েছেন কেউ আবার অন্যান্য পিছিয়েপড়া শ্রেণিতে নাম তুলেছেন।

মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ কুকিদের এলাকায় জমি কিনতে পারেন না, তাই তারা উপজাতির মর্যাদা চাইছেন।

স্পষ্টতই, সমস্যাটা জমির অধিকারের।

২৮ লাখ জনসংখ্যার অধিকাংশই মেইতেই, যারা উপত্যকা অঞ্চলে বাস করেন। আর কুকি সম্প্রদায়ের আদি বাসস্থান ছিল চারটি পার্বত্য জেলায়।

আবার মেইতেদের মধ্যে কিছু মুসলমানও আছেন আর রয়েছেন নাগা সম্প্রদায়ের মানুষ, যাদের ওপরে অবশ্য এই চলমান সহিংসতার আঁচ লাগেনি।

ত্রাণ শিবিরে ৫০ হাজার মানুষ
মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রিয়রঞ্জন সিং বলেন, তাদের রাজ্যে এই ধরনের সহিংসতার ইতিহাস নেই।

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস হলো মেইতেইরাই নাগা ও কুকি সম্প্রদায়কে রাজার প্রশাসনিক কাজে জায়গা করে দিয়েছিল। এখানকার মানুষের হিন্দু হওয়ার ইতিহাসটাও আলাদা।

‘মণিপুরের মানুষের মধ্যে কখনোই ধর্মীয় উগ্রতা ছিল না। তবে উনবিংশ শতকে যখন এখানে রাজার শাসন ছিল, সেইসময়ে হিন্দুধর্ম চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটাও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি,’ বলেন তিনি।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, সাম্প্রতিক এই সহিংসতায় দুই ধর্মাবলম্বীদেরই মৃত্যু আর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এখনো ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়ে ত্রাণ শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যেও কুকি আর মেইতেই- দুই সম্প্রদায়ের মানুষই আছেন।

রাজধানী ইম্ফলের স্টেডিয়ামের পাশে একটি যুব হোস্টেল রয়েছে, যা এখন ত্রাণশিবিরে রূপান্তরিত হয়েছে।

এই শিবিরে ৪০ জন এমন নারী আছেন, যারা সহিংসতা শুরু হওয়ার সময় গর্ভবতী ছিলেন।

গত এক মাসে এখানে চারটি শিশুর জন্ম হয়েছে এবং এই মায়েরা কখনো স্বপ্নেও ভাবেননি যে ‘কনফ্লিক্ট চিলড্রেন’ নামে একটি ত্রাণশিবিরে জন্ম হবে তাদের সন্তানদের।

এখানেই আমার সাথে কথা হয়েছিল ২৭ বছর বয়সী মেরিনা সোরামের, যিনি শিবিরেই কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছেন। তার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

মেরিনা তার মেয়ের নাম রেখেছেন ‘জিত’।

কাংপোকপির বাসিন্দা মেরিনা সোরাম বলছিলেন, ‘গ্রামে যখন হামলা শুরু হলো, তখন আমরা রাতের খাবার খেতে শুরু করতে যাচ্ছিলাম। হামলা হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নদীর দিকে ছুটে যাই। সেখানে দেখি অনেকগুলো শিশু নদীর প্রবল স্রোতের সাথে লড়াই করছে। পরের দিন আমরা তাদের মৃতদেহ খুঁজে পাই।’

সাবেক মেইতেই হিন্দু রাজপরিবার
গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের রাজনীতিতে সাবেক মেইতেই হিন্দু রাজপরিবারের সদস্যদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

সাবেক রাজপরিবারের বর্তমান কর্ণধার, মহারাজা লিশেম্বা সানজাওবা বর্তমানে বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য।

অনেক চেষ্টা করেও বিবিসি তাকে সাক্ষাতকারের জন্য রাজি করাতে পারেনি।

তবে তিনি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন যে, ‘সহিংসতা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং আলোচনাই প্রতিটি সমস্যার একমাত্র সমাধান।’

মণিপুরের ইতিহাসে এই প্রথম ধর্মীয় স্থানগুলো জাতিগত সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজ্য সভাপতি শারদা দেবীও মেনে নিচ্ছেন যে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতায় চার্চ পুড়েছে, মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘চার্চ আর মন্দির দুই-ই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কুকি সম্প্রদায়ের প্রার্থনা করার স্থল গির্জাঘর এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের বাড়িতে যে উপাসনাস্থল বানায়, উভয়েরই ক্ষতি করা হয়েছে। এটা আমাদের সকলের জন্যই দুঃখের বিষয়।’

বিবিসির হাতে থাকা সরকারি তথ্য অনুসারে, জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ২৫০টিরও বেশি চার্চ এবং প্রায় ২০০০ কুকি সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা হয়েছে।

‘সরকারের ওপরে আস্থা হারিয়ে ফেলেছি’
চুড়াচাঁদপুরে আমরা কুকি খ্রিস্টান লিডারস ফেলোশিপের প্রধান যাজক হাওকিপ থংখোসের সাথে দেখা করেছিলাম।

তিনি রাজ্যের গির্জাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন।

হাওকিপ থংখোস বলেছিলেন, ‘কুকি সম্প্রদায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গির্জাঘর, মানুষ এবং তাদের সম্পত্তিতে হামলাকারী জনতাকে থামায়নি সরকার, তাই এই সরকারের ওপরে আমরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের।’

‘এটা জাতিগত সহিংসতা তো বটেই, একই সাথে ভারতীয় হিন্দুদের খুশি করার জন্য গির্জার ওপরে এই হামলাগুলো চালানো হয়েছে,’ বলেন তিনি।

ইম্ফলের গির্জাগুলোর ছবি তোলা বা সেগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করা সংবাদমাধ্যমকর্মীদের কাছে সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় লোকেরা এসে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে সংবাদকর্মীদের।

যদি ভাঙ্গা গির্জা বা ধ্বংস হয়ে যাওয়া মন্দিরের ছবি তোলা হয়, তাহলে স্থানীয়রা বিরক্তি প্রকাশ করে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১০০টি মন্দির আর হাজার দুয়েক মেইতেই বাড়িতে হামলা হয়েছে।

মেইতেই সম্প্রদায়ের একটি গোষ্ঠী ‘কোকোমি’র মুখপাত্র কে ওথাবে জোর দিয়ে বলেন, ‘মণিপুরের কোনো সমস্যাই ধর্মীয় রূপ নেয় না, এবারেও বিষয়টি আরো বড় হয়ে ওঠার আগেই আটকানো গেছে।’

তার মতে, ‘২০০টি চার্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু আপনার জানা উচিত যে আরো ৪০০টি চার্চ এখনো অক্ষত রয়েছে। ধর্মীয় সহিংসতা হলে সেগুলো কি অক্ষত থাকত?’

‘কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় একটাও মন্দির পাবেন না,’ বলেন তিনি।

এই সহিংসতার জন্য প্রতিবেশী মিয়ানমারের চিন প্রদেশ থেকে পালিয়ে আসা কুকি উগ্রবাদীদেরও দায়ী করা হচ্ছে, যাদের কাছে রয়েছে প্রচুর আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।

অধিকারের লড়াই ধর্মীয় সহিংসতার রূপ নিয়েছে
কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের হোম সেক্রেটারি মাং খনসাইয়ের ক্ষোভ যে, ‘কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার, কেউই তাদের দাবিগুলো নিয়ে মাথা ঘামায়নি।’

তিনি বলেন, ‘সবাই তো কোথাও না কোথাও সংখ্যালঘু। আজ শুধুমাত্র মণিপুরে থাকার কারণে আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে, আপনি কি শুধু মণিপুরেই সীমাবদ্ধ থাকবেন? আরো অনেক জায়গা আছে যেখানে তারাও আমাদের মতো একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।’

এই সহিংসতায় ধর্মীয় স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে কুকি সম্প্রদায় বা তিনি অনুতপ্ত কিনা জানতে চাইলে মাং খনসাই বলেন, ‘আমাদের লড়াইটা আসলে কিসের জন্য, সেটা ভেবে আমি নিজেও মাঝে মাঝে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল একটা অধিকারের আন্দোলন দিয়ে, কিন্তু তারপরে সেটা ধর্মীয় সহিংসতার রূপ নিয়ে নেয়।’

‘এখন কেন্দ্রীয় সরকারকে এর অবসান ঘটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, তা না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে,’ বলেন তিনি।

পরিস্থিতি এখন এমনই যে রাজধানী ইম্ফল থেকে পাহাড়ী কুকি অধ্যুষিত এলাকায় যেতে প্রশাসনের নয়, কুকি রক্ষীদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

দিনের বেলা নারীরা সীমান্ত পাহারা দেয় এবং রাতে পুরুষরা।

দুই সম্প্রদায়ের গ্রামের মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণও চলছে।

একটি কুকি গ্রামের বাসিন্দারা আরপিজি থেকে ছোঁড়া গ্রেনেড এবং গোলাবারুদ আমাদের দেখাচ্ছিলেন।

অনেক গ্রামের রক্ষীদের কাছে ওয়াকিটকি আছে, যার মাধ্যমে তারা একে অপরের সাথে কথা বলে।

কয়েকদিন আগে পর্যন্ত তাদের কাছে লাইসেন্সকৃত বন্দুকও ছিল, কিন্তু এখন ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী চারদিকে ঘাঁটি তৈরি করেছে এবং তারা গ্রামবাসীদের অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছে।

এই প্রথম ধর্মীয় সহিংসতা
আমরা রাজধানী ইম্ফলের বাইরে একটি গোপন ডেরায় দেখা করেছিলাম বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্রবাদী গোষ্ঠী ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা ইউএনএলএফের সাবেক চেয়ারম্যান প্রিন্স মেগানের সাথে।

তিনি কয়েক দশক ধরে আন্ডারগ্রাউন্ড ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মর্মাহত, দুঃখিত। অতীতে কখনো এরকম ঘটনা হয়নি। আমি গির্জা বা ধর্মীয় স্থান পোড়ানো কখনোই সমর্থন করি না। পক্ষপাতমূলক দলীয় রাজনীতির ফলেই মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হলো।’

এত দীর্ঘ সময়ের সহিংসতার পরের দৃশ্যপট দেখে ভয়ই হয়।

যারা শত শত বছর ধরে একসাথে বসবাস করে আসছেন তাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও আর অবশিষ্ট নেই।

মণিপুর কংগ্রেস পার্টির কার্যনির্বাহী সভাপতি দেবব্রত সিং পরিস্থিতির সারসংক্ষেপ করে বলেন, ‘এখানে কখনো ধর্মের নামে কোনো দাঙ্গা হয়নি। এই প্রথমবার সেটা দেখলাম আমরা। কোনো মহল থেকে বোধহয় এই সহিংসতাকে ধর্মীয় দাঙ্গার রূপ দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।’

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com