মানবদেহে রক্তে গ্লুুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ৮০-১২০ মিলিগ্রাম/ডেসি.লি। রক্তে যদি এ মাত্রা বেড়ে যায়, তা ডায়াবেটিস নামে পরিচিত। এ রোগটি হয় ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাবে বা ইনসুলিন হরমোন সঠিকভাবে কাজ না করলে। বিশ্বব্যাপী এ রোগটি ক্রমে বেড়েই চলছে। বিগত দশকে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন থেকে ১৬০ মিলিয়নে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
এ রোগের সাধারণ লক্ষণ হলো- অতিরিক্ত পিপাসা। অতিরিক্ত প্রস্রাব বা ঘন ঘন প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব। অতিরিক্ত ক্ষুধা। শীর্ণতা অর্থাৎ খাদ্যগ্রহণের তুলনায় শরীরে ওজন কমে যাওয়া। অতিমাত্রায় শারীরিক দুর্বলতা। বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দেওয়া। শরীরের কোথাও ক্ষতের (ঝড়ৎব) সৃষ্টি হলে দেরিতে শুকানো। সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তিবোধ। যৌনক্ষমতা হ্রাস। হাত-পায়ের স্বাভাবিক অনুভূতি লোপ পাওয়া।
প্রস্রাবের রাস্তায় প্রদাহ। চোখে ঝাপসা দেখা। পায়ে ঘা ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তাই রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষায় রোগ ধরা পড়ে। এ রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুবই কার্যকর।
এ জন্য রোগীকে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়ও এ রোগ থেকে মুক্তি মেলে। এ জন্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।