বৃষ্টি ও ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে যান চলাচল কম থাকায় শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে ঢাকার বাতাসের মান `মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা ১১ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৬৩ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ২৩তম স্থানে ছিল।
০ থেকে ৫০-এর মধ্যে একিউআই স্কোর `ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে `মধ্যম’ বা `গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য `অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে `অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
কানাডার টরন্টো, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যথাক্রমে ১৫৯, ১৫৮ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে `অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা `উন্নত’ হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।