শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন

বিদ্রোহের পর ওয়াগনার প্রধানের সাথে পুতিনের বৈঠক

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩
  • ২৯ বার
ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার সরকার বলছে, ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে রুশ ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের তিন ঘণ্টা ধরে এক বৈঠক হয়েছিল।

গত ২৯ জুন ওই বৈঠকটি হয় বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

সেই হিসেবে ওয়াগনার গ্রুপের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মাত্র পাঁচ দিন পর ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে এখন জানা যাচ্ছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার (১০ জুলাই) বলেছেন, নিয়মিত সেনা ইউনিট কমান্ডারসহ ওয়াগনার গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি জানান, বৈঠকে প্রিগোশিন এবং তার সঙ্গীরা প্রেসিডেন্টের প্রতি তাদের আনুগত্য ঘোষণা করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা রাশিয়ার পক্ষ হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।

পেসকভকে উদ্ধৃত করে ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা খবর দিয়েছে, ক্রেমলিন মুখপাত্র জানিয়েছেন,‘তিনি (পুতিন) বৈঠকে প্রিগোশিনসহ ৩৫ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গত ২৯ জুন ক্রেমলিনে ওই বৈঠক হয়। এবং এটি প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল।

‘শুধু এই কথাটি আমরা বলতে পারি প্রেসিডেন্ট যুদ্ধক্ষেত্রে ওই কোম্পানির ক্রিয়াকলাপের মূল্যায়ন করেন এবং ২৪ জুনের ঘটনাগুলি (বিদ্রোহ) নিয়েও তিনি তার অভিমত প্রকাশ করেন।

পেসকভ জানান, পুতিন ওই ঘটনা নিয়ে ওয়াগনার কমান্ডারদের ব্যাখ্যা শোনেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান ও যুদ্ধে তাদের ভবিষ্যৎ ব্যবহারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।’

রুশ মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, ওয়াগনার গ্রুপের কমান্ডাররা পুতিনকে জানান তারা নিঃশর্তভাবে তাকে সমর্থন করছেন।

‘কমান্ডাররা তাদের দিক থেকে (বিদ্রোহের সময়) কী ঘটেছিল তা বর্ণনা করেন। তারা জোর দিয়ে বলেন তারা রাষ্ট্রপ্রধান এবং কমান্ডার ইন চিফের কড়া সমর্থক এবং মাতৃভূমির রক্ষায় তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।’

গত বৃহস্পতিবার বেলারুসের নেতা অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো, যিনি ওয়াগনার গোষ্ঠীর বিদ্রোহ অবসানে এক চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন প্রিগোশিন রাশিয়ায় রয়েছেন।

জুন মাসের শেষের দিকে প্রিগোশিনের প্রাইভেট জেটটি বেলারুসের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার সময় বিবিসি তা ট্র্যাক করে এবং দেখতে পায় যে সেটি সেদিনই সন্ধ্যায় রাশিয়ায় ফিরে গিয়েছিল।

ওয়াগনার গ্রুপ হচ্ছে ভাড়াটে যোদ্ধাদের একটি কোম্পানি। যেটি গত বছর ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়মিত রুশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করছে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রের নানা জায়গায় রাশিয়ার ব্যর্থতার পর প্রিগোশিন সোশ্যাল মিডিয়ায় রুশ সেনা হাইকমান্ডকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

তিনি বিশেষভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের কঠোর নিন্দা জানান।

তবে প্রিগোশিন বিদ্রোহের সময় পুতিনের বিষয়ে সরাসরি কোনো নিন্দা জানাননি, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ওই ঘটনাটি ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com