এশিয়া কাপ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। প্রথমে ভেন্যু, অতঃপর সূচি নিয়ে নানান জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অবশেষে গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩১ আগস্ট মাঠে গড়াবে এবারের আসর।
এশিয়া কাপ যেখানেই হোক বাংলাদেশের কোনো সমস্যা ছিলো না তাতে। তবে বিসিবি বরাবরই দীর্ঘ ভ্রমণ এড়াতে চেয়েছে। যদিও সে ইচ্ছে পূরণ হয়নি। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ বাংলাদেশকে খেলতে হবে দুই দেশে। কখনো শ্রীলঙ্কা কখনো পাকিস্তানে। তবুও আবার মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে।
৩১ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের মাঠেই খেলতে নামবে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচ লাহোরে ৩ সেপ্টেম্বর খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। একই অবস্থা হবে সুপার ফোরেও। এমতাবস্থায় ভ্রমণ ক্লান্তিতে পড়তে হবে নিঃসন্দেহে। বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিল ক্রিকেট পাড়া।
তবে এর মাঝে পাওয়া গেল খানিকটা স্বস্তির খবর। এশিয়া কাপে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের জন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে চাটার্ড বিমান দেবে এসিসি। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘প্রথম রাউন্ডে দুইটা ম্যাচ আছে আমাদের, পাকিস্তান- শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে। যেতে হবে, কিছু তো করার নেই। ৩১ তারিখের পর ৩ তারিখ আমাদের আবার ম্যাচ। যাত্রাটা যেন আরামদায়ক হয়- সেজন্য এসিসি থেকে চাটার্ড বিমান দেয়া হবে। এটা ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
একটা টুর্নামেন্ট চলাকাকালীন নিয়মিত যাতায়াত ক্রিকেটারদের ওপর প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন জালাল ইউনুস। তবে মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন,
‘যাতায়াত করলে তো সব সময় একটা প্রভাব পড়েই। আপনি যদি বিমানে যান তাহলে ২-৩ ঘণ্টা আগে যেতে হয়। লাগেজ নিয়ে যেতে হয়। এছাড়া মানসিক শক্তিরও বিষয় আছে। শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তান তো খুব কাছে না। যেহেতু এসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাই মেনেছে, আমাদেরও মেনে নিতে হয়েছে।’