পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘চলতি মাসের ১৭ তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। ওইদিন মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ভিডিও-এর মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে সংযোগ থাকবে।’
‘তবে বড় গণজমায়েত না হলেও অনুষ্ঠানের কিছুটা নতুনত্ব আনা হয়েছে। বছরব্যাপী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান করা হবে, সার্বিক পরিবেশের উন্নতি হলে পরবর্তী সময়ে আমাদের বড় অনুষ্ঠানের চিন্তা রয়েছে।’
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে ‘মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন আন্তর্জাতিক উপকমিটির’ সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা জানান। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত ওই দিনেই আমাদের অনুষ্ঠান হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের অনুষ্ঠানমালার সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেদিন আমাদের বড় কোনো গণজমায়েতের চিন্তা নেই, তবে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সঙ্গে অনুষ্ঠান সংযোগ থাকবে। আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্যে আরও ছিল ২২ ও ২৩ মার্চ সংসদে বিশেষ অধিবেশন, ২০ মার্চ শিশুদের সঙ্গীত, ২৬ মার্চ, ২৭ মার্চ অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠান, তবে সবগুলোই জনসমাগম এড়িয়ে করা হবে। অনুষ্ঠানে থাকবে রক্তদান, মিলাদ মাহফিল, রাষ্ট্রপতির বাণী, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, শেখ রেহানার শুভেচ্ছা বক্তব্য।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা চেয়েছিলেন মুজিব শতবর্ষ উদযাপন হোক, ভক্ত হিসেবে আমরাও চেয়েছিলাম। তবে মানুষের কথা বিবেচনায় এনে গণজমায়েতের পরিবর্তে অনুষ্ঠানমালার সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে, তারাও চিঠির জবার দিয়েছেন। পরিবেশ ভালো হলে আগামীতে বড় অনুষ্ঠান করা হবে। তাছাড়া মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান একদিনের জন্য নয়, এটা বছরব্যাপী অনুষ্ঠান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জানিয়েছেন, আমরা খুব ভাগ্যবান বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ায় বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী পালন করার সুযোগ এসেছে। তারা নিশ্চয়ই চান বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান হোক। যেহেতু এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা কমিটির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন কী করা হবে। তখন কমিটির সবাই বললেন, আমরা ১৭ মার্চ উদযাপন করব। তবে যেহেতু বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন মানুষের যেন কোনো অমঙ্গল না হয়, তার কন্যারাও চান কেউ যেন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে না পড়ে। সে জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম জনসমাগম এড়িয়ে চলব। এ ছাড়া দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।