সালাত বা সালাহ যা সব মুসলিম বা ইসলাম ধর্মের একটি দৈনিক নিয়মিত প্রধান ইবাদত। যা সব মু’মিন মুসলমানের ওপর ফরজ করা হয়েছে। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব গ্রহণ করা হবে। যদি একজন মুসলমান সালাত ঠিক রাখে, তাহলে বাকি আমলও তার ঠিক থাকে। আর যদি একজন মুসলমান সালাত না পড়ে, তাহলে তার বাকি আমলও ঠিক হয় না। যারা ফরজ সালাত আদায় করে না আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের কোনো আমলই কবুল হয় না। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের সালাত ত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।’ (বুখারি) এর অর্থ হলো- তা বাতিল হয়ে যায় এবং তা তার কোনো কাজে আসবে না। এ হাদিস প্রমাণ করে, সালাত ত্যাগকারীর কোনো আমল আল্লাহ কবুল করেন না এবং সালাত ত্যাগকারী তার আমল দিয়ে কানোভাবেই উপকৃত হবে না। তার কোনো আমল আল্লাহ তায়ালার কাছে উত্তোলন করা হবে না। তবে কোনো বান্দা যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় আল্লাহর ফরজ করা ইবাদতগুলো কুরআন-সুন্নাহর নিয়ম অনুযায়ী আমল করে তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করবেন এবং বান্দার আগের আমলগুলোও কাজে আসবে। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সালাত আদায় করতে হয়; যা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। সালাতের ফরজ ও ওয়াজিব ব্যতীত আরো কিছু নিয়ম কানুন আছে যেগুলো আমরা অনুসরণ না করে নিজেদের মনগড়া নিয়ম অনুসারে সালাত আদায় করে থাকি; যা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয়। এ ছাড়া সালাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাতার সোজা করে সালাত পড়া।
প্রথম কাতারের ফজিলত : ১. রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘পুরুষদের জন্য সর্বোত্তম কাতার হলো প্রথম কাতার; আর নিকৃষ্ট কাতার হলো শেষ কাতার। পক্ষান্তরে মহিলাদের জন্য সর্বত্তোম কাতার হলো শেষ কাতার; আর নিকৃষ্ট কাতার হলো প্রথম কাতার।’ রাসূলুল্লাহ সা: থেকে আরো বর্ণিত আছে- তিনি ইরশাদ করেন, ‘কাতার সোজা করা সালাতের পূর্ণতার শামিল।’ (তিরমিজি)
তাই একজন মুসলিম মু’মিন বান্দা হিসেবে আমাদের সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত হতে হবে এবং ধর্মীয় বিধান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করতে হবে। এ ছাড়াও প্রথম কাতারে সালাত পড়ার গুরুত্ব থাকার কারণে, প্রথম কাতারে সালাত পড়ার চেষ্টা করতে হবে।
লেখক :
শিক্ষা সচিব, সুকতাইল মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর