ভারতের কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের ছায়া এবার নরেন্দ্র মোদির বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। রাজ্যের বিশালগড়ের একটি বিদ্যালয়ে হিজাব পরায় মুসলিম ছাত্রীদের ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোয় অন্য শিক্ষার্থীরাও মারধরের শিকার হয়েছেন।
শনিবার ভারতীয় পত্রিকা সংবাদ প্রতিদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ত্রিপুরার বিশালগড়ের কড়ইমুড়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী স্কুল কড়ইমুড়া দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রী হিজাব পরেই স্কুলে যায়। কিন্তু কয়েক দিন আগে এই স্কুলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রীতিমতো লিখিতভাবে ছাত্রীদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানায়।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনো নির্দেশিকা জারি না করলেও অঘোষিতভাবে ছাত্রীদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে অভিযোগ শিক্ষারীদের। ছাত্রীদের মৌখিকভাবে হিজাব না পরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে হঠাৎ করেই শুক্রবার হিজাব পরে আসা ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় কিছু বহিরাগত যুবক। ওই যুবকরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী। তারা হিজাব পরা ছাত্রীদের বাধা দিলে স্কুলেরই কয়েকজন ছাত্র তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করে। তাদের মধ্যে এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে ওই যুবকরা। এর জেরে স্কুল চত্ত্বর রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
স্কুলের ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকরা স্কুলের সামনেই রাস্তা অবরোধ করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, বিদ্যালয়ে হিজাবে সরকারিভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। শিক্ষা দফতরও এ বিষয়ে স্কুলগুলোকে কোনো নির্দেশ প্রদান করেনি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে হিজাব পরিহিতা ছাত্রীদের বাধা দেয়া হলো। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি।