গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সাতকানিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবারের সাথে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শঙ্খ ও ডলু নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, মৎস্য প্রজেক্ট ও পুকুর। কেরানীহাট সাতকানিয়া-বাশঁখালী সড়কের বিভিন্ন স্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক চার-পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া, ছদাহা, ঢেমশা, বাজালিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, পুরানগড়, নলুয়া, পশ্চিম ঢেমশা, এওচিয়া, সোনাকানিয়া, চরতি, কাঞ্চনা ও সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেক এলাকার লোকজন ইতোমধ্যে নৌকায় যাতায়াত করছে। উপজেলা সদরের সাথে অনেক এলাকার লোকজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বেশিরভাগ নিচু এলাকার ঘরগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শঙ্খ ও ডলু নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীর তীরবর্তী অনেক ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের দস্তিদারহাট, আমতলা, সত্যপীরের মাজার, বাজালিয়ার মাহালিয়া, ডেলীপাড়া, বাড়িঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপর তিন-চার ফুট উঁচু হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুর থেকে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিরতিহীন বৃষ্টির ফলে বন্যার পানি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।