বান্দরবানের মারমা বাজার এলাকায় নদীর তীরে মাটি সরে দেবে গেছে দোতলা ভবনসহ কয়েকটি বসতবাড়ি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। এখনো পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, নদীর পানি নেমে গিয়ে সেখানে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকায় আরো ২০টিরও বেশি বসতবাড়ি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব বসতবাড়ি থেকে লোকজন সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মৎসুদ্দি জানিয়েছেন যে রেখা দাশ, রিতা নাথসহ বেশ কয়েকজনের বসতবাড়ি পানিতে ভেঙে পড়ে। অন্যদেরও সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাকখালি নদীর পানি এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিচু এলাকা থেকে পানি সরে গেছে। তবে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বড় গাড়িগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
অন্যদিকে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ চালু হলেও জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এখনো সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। তবে নিচু এলাকাগুলোতে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। জেলা শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ও বন্যার্তদের মাঝে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জেলার বাইরে থেকে দু’টি পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন দিয়ে স্থানীয়দের পানি সরবরাহ করছে। পানি নেমে যাওয়ার পর কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে বসতবাড়িগুলো। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে বান্দরবানে পাহাড় ধ্বসে ও পানিতে তলিয়ে আটজন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে দু’জন। বন্যার্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১৬৫ টন খাদ্যশস্য ও নগদ পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।