ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাতের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত দুইদিনে প্রদেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার রাতে রাজ্যের সোলান জেলায় আকস্মিক বন্যায় সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া শিমলা শহরে সামার হিল এলাকায় শিব মন্দিরে ভূমিধসের ঘটনায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়।
সোলানের মামলিঘ গ্রামে আকস্মিক বন্যা থেকে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে দুই বাড়ি এবং একটি গোয়ালঘর ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
সোলানে মৃতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা গৌরভ সিং। তিনি বলেন, নিহতরা হচ্ছেন হারনাম, কামাল কিশোর, হেমলতা, রাহুল, নেহা, গলু এবং রাক্সা।
এ নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখভিন্দার সিং সুকু। তিনি হতাহতের পরিবারকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার তিনি বলেছেন, পাহাড়ি রাজ্যে সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ থেকে বন্ধ থাকবে। সেই সময় তিনি ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তার তথ্য জানান। বন্যাকবলিত অঞ্চলে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ সোমবার সুখবিন্দর সিং স্থানীয়দের ঘরের ভেতরে অবস্থান করার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে ড্রেন অথবা নদীর কাছে যেন কেউ না যান তার অনুরোধ করেছেন তিনি। এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ভূমিধস প্রবণ এলাকা থেকে লোকদের সরে যেতে বলেছেন। এ ছাড়া এই সঙ্কটময় মুহূর্তে পর্যটকদের রাজ্যটিতে ভ্রমণ না করার অনুরোধ করেছেন।
শিমলার ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নেগি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, শিমলা শহরে ভূমিধসে ১৫ থেকে ২০ জন আটকা পড়েছে।