কানাডায় গ্রোসারি চেইনগুলোর ওপর নতুন করে কর আরোপের যে হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দিয়েছেন, তাতে করে দেশটিতে ঊর্ধ্বমুখী খাদ্য দ্রব্যের দামে লাগাম টানা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এতে করে অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বৃহস্পতিবার জাস্টিন ট্রুডো জানান যে তিনি কানাডার বৃহত্তম পাঁচটি গ্রোসারি চেইনের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। খাদ্যদ্রব্যের আকাশচুম্বী দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে সব বিষয়ে আলাপ করবেন তারা। যদি তাদের পরিকল্পনা সফল না হয় তবে সরকার কর আরোপও করতে পারে জানান ট্রুডো।
বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ইউরোপে খাদ্যদ্রব্যের চড়া দামের কারণে হাঁসফাস করছেন সাধারণ মানুষ। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়েই খাদ্যদ্রব্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে।
চলতি বছর জুন মাসে ফরাসি সরকারও এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিশ্লেষকরা অবশ্য ট্রুডোর হুঁশিয়ারি নিয়ে সন্দিহান। তারা বলছেন, এটি রাজনৈতিক কৌশল। এতে করে খাবারের দাম কমার সম্ভাবনা কম।
নিকোলা ওয়েলথ এর পোর্টফলিও ম্যানেজার বেন জ্যাং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও বাণিজ্য মন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিলিপ শ্যাম্পেন এই বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তারা কোন ইস্যুতে ব্যবস্থা নেবেন সেটা পরিষ্কার করেননি।
রানিং পয়েন্ট ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজর এর প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মাইকেল অ্যাশলি স্কুলম্যান বলেন, নতুন কর আরোপে বিপরীত প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।
আইএ প্রাইভেন ওয়েলথ এর জ্যেষ্ঠ বিনিয়োগ পরামর্শক অ্যালান স্মল বলেন, সরকার আসলে জনগণের হতাশা দূর করতে চায়। কিন্তু এভাবে খুব বেশি ইতিবাচক ফল আসবে বলে আমি মনে করি না।
বৃহস্পতিবার ফরাসি সুপারমার্কেট চেইন ক্যারেফোর লিনডে চকলেট থেকে শুরু করে লিপটন চায়ের গায়ে ‘দাম বেশি’ স্টিকার লাগিয়েছে। নেসলে, পেপসিকো ও ইউনিলিভারের মতো বড় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর প্রতি একটি সতর্কবাতা। কোম্পানিগুলো যেন তাদের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখে সেজন্যই ক্যারেফোর এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানানো হয়।