ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের মৃত্যু বাড়ছেই। করোনায় ব্রিটেনে শনিবার পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪৫ জন। ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস) এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবার করোনাভাইরাসে (কোভিড -১৯) আক্রান্ত আরো ৫৬ জন মারা যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩৩ জনে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত সর্বশেষ মৃতদের বয়স ছিলো ৪১ থেকে ৯৪ বছরের মধ্যে এবং তারা মূলত বার্ধক্যজনিতসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃতদের পরিবারকে তাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
এনএইচএস সূত্র জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী ব্যক্তিই হচ্ছেন ব্রিটেনের সব চেয়ে কম বয়সী ব্যক্তি যিনি এই রোগে মারা গেলেন।
এদিকে আইসিইউতে প্রয়োজনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হবে, আর কাকে মরে যেতে দেওয়া হবে তা নির্ধারণে ব্রিটেনে চিকিৎসকদের নীতিমালা বা গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার প্রাদুর্ভাবে আগামী সপ্তাহগুলোতে হাসপাতালে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে এমন গাইড লাইনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, আগে থেকেই যারা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তাদের চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য রোগীদের একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমাও তারা বেছে নিতে পারেন। এছাড়া আইসিইউতে থাকা কোনো রোগীর চেয়ে অন্য কোনো রোগীর যদি তার চেয়ে বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে তাহলে চাইলে আগের রোগীকে সরিয়ে নতুন রোগীকে রাখতে পারবেন চিকিৎসকরা।
এদিকে করোনা ভাইরাসে কেউ মারা গেলে ব্রিটিশ সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী লোকাল অথরিটি (স্থানীয় প্রশাসন) লাশ কবর দেয়ার পরিবর্তে পুড়িয়ে ফেলতে পারবে। সরকারের ওই আইন সংশোধনের দাবি জানায়েছে ব্রিটেনের এথনিক কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা যার যার ধর্ম অনুযায়ী শেষ কৃত্য করার দাবি জানিয়েছেন।