টানা তিন দিনের বৃষ্টির কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের লাখো মানুষ। ময়লা দুগন্ধযুক্ত পানির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুতুবপুরের শহীদ নগর, দৌলতপুর, মুন্সিবাগ, আদর্শ নগর, নূরবাগ, পিলকুনীসহ আশপাশের প্রায় বেশ কয়েকটি গ্রামের রাস্তা-ঘাট টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আর এতে করে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় কয়েক লাখ মানুষ।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন প্রায় সময় সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। নয়ামাটি থেকে পাগলা যাওয়ার প্রধান সড়ক, নয়ামাটি ও পাগলা স্কুল, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনের চলাচলের প্রধান সড়ক একটু বৃষ্টি হলেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই রাস্তায় যাতায়াতরত স্কুল-কলেজর ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মজীবী মানুষের।
এই ভোগান্তির শেষ কোথায় তাও যেন জানা নেই কুতুবপুরে সাধারণ মানুষের, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এ রকম চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন অবহেলিত কুতুবপুর ইউনিয়নের লাখো মানুষের।
দেলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান রনি নয়া দিগন্তকে জানান, বৃষ্টির পানি না সরতে পারায় রাস্তা ডুবে আছে। মানুষের চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
নয়ামাটি এলাকার বাসিন্দা মুক্তি বেগম নয়া দিগন্তকে জানান, অনেকে বাসায় এখনো বৃষ্টির পানি আটকে আছে। আমাদের অনেক দুর্ভোগ। ড্রেন না থাকায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, ডিএনটি প্রজেক্ট এর কাজ চলমান থাকায় অধিকাংশ জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। আর এতে করে নিচু এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
আর রাস্তাগুলোর পাশে ড্রেন ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে সড়কগুলো তলিয়ে যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অচিরেই এর সমাধানের ব্যবস্থা করছেন বলে আশ্বস্ত করেছন।