নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশস্থলে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দের কারণে টিকতে না পেরে সমাবেশ মঞ্চ ছেড়ে যেতে বাধ্য হলেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আধা ঘণ্টার মধ্যে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পুলিশ।
এর আগে বেলা দুইটার দিকে সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি মহাসমাবেশস্থলের মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কারো উসকানিতে পা দেবেন না, দয়া করে বসে যান। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নস্যাৎ করতে চায় তারা (সরকার)।’
তিনি যখন এ আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তখন কাকরাইলের দিক থেকে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া আসছিল। তবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি।
এরপর স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বক্তব্য দেন। তারপর বক্তব্য দিতে আসেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কিন্তু তিনি তার বক্তব্য শেষ করতে পারেননি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ জনসভায় গোলাগুলি করছে তারা (সরকার)।
আমীর খসরুর বক্তব্যের সময়ও বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছিল। কাকরাইলের দিক থেকে এই শব্দ যখন আসছিল, তখনো মহাসমাবেশস্থলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া বিএনপির মঞ্চের দিকে আসতে থাকে। বেলা পৌনে ৩টায় একটি ভ্যানে করে রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে বিএনপির মঞ্চের সামনে আনা হয়। তখন উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। একপর্যায়ে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেনসহ নেতা-কর্মীরা কাকরাইলের দিকে যেতে থাকেন। তখন সমাবেশস্থলে কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন নেতা-কর্মীরা।