নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগ কোভিড–১৯। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি এখন বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। করোনার কারণে বদলে গেছে পৃথিবীর চিরচেনা রূপ। থমকে গেছে মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
আতঙ্ক তৈরি করা এই ভাইরাসটিকে মানুষ এখনও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। এর প্রতিষেধক তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের গবেষক ও চিকিৎসকরা।
করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে আমরা সাধারণত থার্মাল স্ক্যানার মেশিনের ব্যবহার লক্ষ্য করেছি। যা ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন, থার্মাল স্ক্যানার দিয়েই করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। বিষয়টি আসলে তা নয়, এটি দিয়ে শুধুমাত্র শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিনের মাঝে অসুস্থজনিত উপসর্গ (যেমন- জ্বর, কাশি ইত্যাদি) দেখা যায়। তখন থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে ওই জ্বরাক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়। তবে করোনায় আক্রান্ত কিন্তু জ্বরের উপসর্গ নেই, এমন ব্যক্তিকে এই ডিভাইস দিয়ে শনাক্ত করা সম্ভব নয়।