নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যারা লন্ডনে বসে কথা বলছে তারা সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক। তারা লন্ডন থেকে কথা বলে মানুষকে উস্কে দিচ্ছে। তাদের উদ্দ্যেশ্য কী, উদ্দেশ্য নির্বাচন না। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে বর্জন করে একটা পাপেট সরকার আনা। তবে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা থাকতে ওদের এই আশা সফল হবে না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।
সোমবার বেলা ১১টায় বিএনপির ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা অনুরোধ করব যারা এই ছেলেদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মাঠে নামিয়ে এসকল নাশকতা করাচ্ছেন। ছেলেগুলোর ক্যারিয়ার নষ্ট করছেন। এই ছেলেগুলো নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও মামলার আসামি হলে তখন নেতাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তারা ইতোমধ্যে দল বদলানোর জন্য চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই না কোন বাসে আগুন লাগুক। মানুষের ব্যাক্তিগত সম্পদ ক্ষতি করা হোক। মানুষ চাইলে অবরোধ করবে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা জোর করে গাড়ি চালাতে বলব না। তেমনি কারো উচিত না জোর করে গাড়ি বন্ধ করা।
তিনি আরো বলেন, আমরা কাউকে আঘাত করিনি। আমরা ব্যাক্তিগত বা দলগতভাবে কোনো উদ্যোগ নেইনি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষের গাড়িতে আগুন দেয়া হচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। আমরা এই বাংলাদেশ চাই না। এটা যদি রাজনীতি হয়, তাহলে রাজনীতি কলঙ্কিত হয়ে যাবে। ২৮ তারিখ একজন পুলিশকে, ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা কুপিয়ে হত্যা করল।
শামীম ওসমান বলেন, বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়। সাংবাদিকদের কাজ খবর প্রচার করা। সেই সাংবাদিকদের ওপর যে ২৮ তারিখ হামলা হলো, সেই বর্বর হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। সারাদেশে ওরা এ কাজ করছে। ওরা ২০১৩-১৪ সালের মত করতে চাচ্ছে। তবে এবার ওরা সফল হবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছয়-সাতজন মানুষ নিয়ে এই সাইনবোর্ডে অগ্নিসংযোগ করছেন। এতে বোঝা যায়, ওদের রাজনীতি কোন পর্যায়ে গেছে। রাজনীতি করতে চাইলে আসুন গ্রেফতার হোন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সাথে তার কন্যার পার্থক্য আছে। জাতির পিতা সবাইকে বিশ্বাস করতেন আর তার কন্যা বিশ্বাসঘাতকদের চিনে রেখেছেন। ঢাকার সমাবেশে লাখ লাখ লোকের সমাগম প্রমাণ করে মানুষ আমাদের সাথে আছে। ওরা তো পশুর চেয়েও অধম হয়ে গেছে। যারা পুলিশদের পিটিয়ে হত্যা করে। অসত্য কখনো সত্যের সাথে পারে না, অন্যায় কখনো ন্যায়ের সাথে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধৈর্য্য ধরছি। কারণ আমাদের ধৈর্য্য ধরতে বলা হয়েছে। আমি মনে করি নারায়ণগঞ্জকে যারা অশান্ত করতে চায়, তাদের বলব এগুলো করবেন না। একটা মানুষের গাড়িতে যখন আগুন দিবেন, তার যে হাহাকার সেটা সরাসরি আল্লাহর আরশে পৌঁছে যায়। এই হাহাকারের সামনে বাঁচবেন না।
এসময় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।