বর্তমান সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্ষিপ্ত হয়ে জনগণ রাস্তায় নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্ষিপ্ত জনগণ এখন জীবন-মরণ প্রতিজ্ঞা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে না ফিরতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রদল ঢাকা জেলার সাবেক সভাপতি, যুবদল ঢাকা জেলার সভাপতি এবং বিএনপি ঢাকা জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পলকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘চলমান গণ-আন্দোলনে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের পতনের আশঙ্কায় এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে নিরীহ মানুষসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন ও গ্রেফতারের পাশাপাশি গুমের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। গত রাতে রেজাউল কবির পলকে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তুলে নিয়ে যাওয়া হাড়হিম করা মানবতাবিরোধী অপরাধেরই অংশ। সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর এ কারণেই জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা শাসক সেজে জনগণকে প্রজা বানিয়ে শাসন ও শোষণ করছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন, অপহরণ ও গুম করে দেশে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে কর্তৃত্ববাদী সরকার। কিন্তু এটি এবার সম্ভব নয়। কারণ অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্ষিপ্ত জনগণ এখন জীবন-মরণ প্রতিজ্ঞা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘রেজাউল কবির পলকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনই তুলে নিয়ে গেছে। তাই তাদেরকেই তাকে পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে। রেজাউল কবির পল নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তার পরিবার এবং দলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই অবিলম্বে তাকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’